Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কেন চিরকুট দিতে হবে?

জাতীয় প্রেসক্লাবে গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে যাদের অনিহা আছে তাদেরকে নিয়ে পথ চলা ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তাদেরকে (ঐক্যফ্রন্ট) কেন মঞ্চে চিরকুট দিতে হবে? বেগম জিয়ার মুক্তির কথা তারা কেন বলতে পারবে না? যার বিরুদ্ধে আমরা রাজনীতি করি তাদের কথা জোরেশোরে আমাদের সামনে কেন বলা...। তারপরও আমরা সহ্য করি কেন? শুধুমাত্র জাতীয় ও জনগণের স্বার্থে। এ কারণে আমি মনে করি, সবাইকে একটু সতর্ক হওয়া ভালো। গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এমকে আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি একটি শক্তি। কারণ বিএনপি জনগণের কথা বলে। আর বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যাদেরকে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নিয়ে আমরা চলি তাদের মধ্যে যদি তার মুক্তি নিয়ে অনীহা থাকে তাহলে তো তাদের সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা ক্ষতিকর। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে মাঠে থাকি তাহলে আমাদের শক্তিই যথেষ্ট। সে কারণে যারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) আছে তাদেরকে সম্মান করি ও গুরুত্ব দেই। কিন্তু তারা যদি আমাদের ঘাড়ে চেপে তাদের নিজস্ব টার্গেট নিয়ে চলতে চায়, সেই পথে চলে তাহলে আমাদের জন্য বোকামি হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের নিজেদের মধ্যে নিজেদের আত্মবিশ্বাস নাই। তারপরও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ থেকে ছোট, বড় ও মাঝারি দলসহ অনেক দল নিয়ে ঐক্য করেছি। আবার ফ্রন্টও করেছি। এটা কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অলঙ্কার হতে পারে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কী করেছেন? এই ভিসির প্রতি স্পষ্ট অভিযোগ, গত ঈদে ছাত্রলীগের ছেলেদের ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সেলামি দিয়েছেন। তার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। সেই ভিসিকে রক্ষার জন্য ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা দানবে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তারই সহকর্মী একটি মেয়েকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে! এটা বিশ্বাস করা যায় না। কারা এদের দানব বানালো? এই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার।

তিনি বলেন, আজকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের মাধ্যমে এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে আজকের এই অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে এদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমূখ।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ