পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামরিক যোগাযোগ বাড়ানো, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সামরিক রসদ সরবরাহসহ প্রতিরক্ষা খাতে ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে চায় ওয়াশিংটন। এ লক্ষ্যে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস প্রতিরক্ষা খাতে আকসা ও জিসোমিয়া নামের দু’টি চুক্তি নিয়ে সরকারের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ করেছেন।
এলিস ওয়েলস মঙ্গলবার ঢাকায় এসেই বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক‚টনৈতিক স‚ত্রে জানা গেছে, আকসা (দ্য অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) হচ্ছে সামরিক রসদ বিষয়ক একটি রূপরেখা চুক্তি। অন্যদিকে জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে গোপন তথ্য বিনিময়ের চুক্তি।
জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আকসা চুক্তি সই করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, একই বছর ভারতের সঙ্গে জিসোমিয়া চুক্তি সই করে দেশটি। এবার দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে এই দুইটি চুক্তিই সইয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে এই বিশ্ব পরাশক্তি।
স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ০৫ নভেম্বর বৈঠক শেষে এলিস ওয়েলস বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চাকাক্সক্ষী উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ওয়াশিংটন সবসময় পাশে আছে এবং থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক এবং উন্নয়নের গতি মসৃণ হোক। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তাতেও সহায়তা করতে চায় ওয়াশিংটন। এসব বিষয়ে সরকারের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে ফলপ্রস‚ আলাপ হয়েছে।
মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকার সঙ্গে আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি করতে চায় ওয়াশিংটন। দুই দেশের মধ্যে খুব আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ সামরিক যোগাযোগ রয়েছে। এই চুক্তিগুলো হলে এই যোগাযোগ আরও বাড়বে। দুর্যোগসহ একাধিক প্রাকৃতিক সংকট মোকাবিলায় দুই দেশের সামরিক বাহিনী যাথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবে। দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ফলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়া, বিনিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানুষের সমাবেশ করার অধিকার, মানব পাচার, শ্রম আইন ও পরিবেশ, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগ নিয়ে আলাপ হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বিষয়ে তিনি (এলিস ওয়েলস) বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সমর্থন করবে। তবে তারা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের খরচ খতিয়ে দেখতে চেয়েছে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য তাদের পাঠাব। তারা আরও বলেছে, জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নসহ একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। আমরা তাদের এই চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমি বলেছি— এই আইনটি নেতিবাচক কোনো কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রতিরক্ষা খাত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।