পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আবরারের বাবা মো. মজিবুর রহমান। গতকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালতে এ মামলা করেন তিনি। মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আবরারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, গতকালও আবরারের মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকান্ড দাবি করে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল কলেজের সামনে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ পরিবারের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বাবা মজিবুর রহমান। পরে আদালত আগের করা অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে বর্তমান মামলা সংযুক্তিপূর্বক তদন্ত করে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবরারের লাশ কবর থেকে দ্রুত উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওল্ড রেমিয়্যান্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনার পরেও কিশোর আলো অনুষ্ঠান শেষ না করে চালিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। তিনি কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকের ফাঁসি দাবি করেন।
এদিকে, কলেজটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার কাজী শামীম ফরহাদ আবরারের মৃত্যুর জন্য কিশোর আলো কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আবরারের মৃত্যুর দায় অবশ্যই কিশোর আলো কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। এছাড়া কাছের হাসপাতাল রেখে দূরের হাসপাতালে নেওয়ারও কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুস্পৃষ্টে মারা যায় নাঈমুল আবরার। ঘটনার পর থেকে আয়োজকদের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হচ্ছে। যদিও আয়োজক কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আবরার প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।