পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন ফি কমানো ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ ১৭ দফা দাবিতে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ৯টায় অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। ভর্তি পরীক্ষার দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময়ে এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে সেøাগান দেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ১৭ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।
দাবিগুলো হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহীদ মিনার এবং প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ অতি দ্রæত শুরু করতে হবে, আবাসিক হলে সিট প্রতি ভাড়া ১৫০ টাকা ও গণরুমের ভাড়া ২৫ টাকা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ‘ফি’ সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা, বিভাগ উন্নয়ন ফি বাদ দিতে হবে, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি ৫০% করতে হবে; উপস্থিতি ৫০% এর কম থাকলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির নম্বর পাবেন না। কিন্তু তাকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে; পরীক্ষায় ইমপ্রæভমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে, প্রতি সেমিস্টারে বেতন বাবদ ১২শ’ টাকা থেকে কমিয়ে ৬শ’ টাকা করতে হবে। প্রতি সেমিস্টারে ক্রীড়া ফি ১৫০ টাকার স্থলে ২০ টাকা করতে হবে, শুধু ক্যাম্পাস নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৯-২১ শিক্ষাবর্ষের থেকে) সব বিভাগে সর্বোচ্চ আসন ৫০ করতে হবে, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পানি পানের সুব্যবস্থা থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৫৫ একর থেকে বাড়িয়ে ১৫০ একর করতে হবে, শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকের ব্যক্তিগত ক্ষোভ যেন একাডেমিক প্রভাব না ফেলে, শিক্ষকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে, সেমিস্টার ফি প্রতি ক্রেডিট ১০০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করতে হবে, যেসব বিভাগে কম্পিউটার নেই তারা প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার বাবদ ২৫০ টাকা দিবে না, যেহেতু আমাদের ছাত্রসংসদ নেই, তাই আমরা কোনো টাকা দেবো না এবং পূর্বের টাকার হিসাব দিতে হবে, স্টুডেন্ট কমনরুম নেই, কমন রুমের টাকা দেবো না এবং পূর্বের টাকার হিসাব দিতে হবে, ক্যাফেটেরিয়া, অডিটোরিয়াম এবং অ্যাম্পিথিয়েটারের নির্মাণকাজ দ্রæত শুরু করতে হবে, চিকিৎসা ফি ২২৫ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করতে হবে, প্রতি সেমিস্টারে বাসা ভাড়া ৩০০ টাকা করতে হবে এবং ছাত্র কল্যাণ ফি ৫০ টাকা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রারের পক্ষে প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান মঙ্গলবার গ্রহণ করেন।
বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজু বলেন, দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, সেমিস্টারসহ সব ধরনের ফি মাত্রাতিরিক্ত। তাই মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন ফি কমানো ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ ১৭ দফা দাবিতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। ভর্তি পরীক্ষার দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময়ে এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে। ১৭ দফা আমাদের মুক্তির দফা। তাই এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তিনি পেয়েছেন। তাদের সব দাবি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসির পক্ষে পূরণ করা সম্ভব না। নতুন ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তাদের বেশ কিছু দাবি যৌক্তিক বলে তিনি স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।