Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামীর কুতুবদিয়া

চকরিয়া-পেকুয়া হবে পর্যটনের নতুন আকর্ষণ

শফিউল আলম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) থেকে ফিরে | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কুতুবদিয়ার অপর নাম সাগরকন্যা। ডটার অব দ্য বে অব বেঙ্গল। হযরত শাহ কুতুবুদ্দীন, হযরত আবদুল মালেক শাহ, আলী আকবর শাহ (রহ.) এবং আরো অনেক পীর-আউলিয়ার পুণ্যস্মৃতিবিজড়িত এই ‘ডিয়া’ বা দ্বীপ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরসহ বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম মহানগরী এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার অর্ধেক অঞ্চলকে ঠিক পেছনে রেখে বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুতুবদিয়া। মানচিত্রের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায় বাংলাদেশের গেটওয়ে চট্টগ্রামের শক্তিমান প্রহরী ‘অলৌকিক’ এই দ্বীপ। হাজার বছর ধরে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের আঘাত থেকে সুরক্ষা করছে। দুর্যোগের শক্তি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে।

কুতুবদিয়ার ঐতিহাসিক বাতিঘর। সেই খ্যাতি কারও কি অজানা! পৌনে দুইশ’ বছর আগে ১৮৪৬ সালে এ অঞ্চলে প্রথম বাতিঘর স্থাপনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে ও ইতিহাসে জায়গা করে নেয় দ্বীপটি। এযাবৎ লাখ লাখ জাহাজকে সমুদ্রে নির্বিঘেœ চলার পথ দেখিয়েছে কুতুবদিয়া বাতিঘর। এবার সমগ্র বাংলাদেশের জন্যই আলোর দিশারী হয়ে উঠবে। জাতির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটবে কুতুবদিয়া থেকেই। তেল-গ্যাসসহ খনিজ, হরেক প্রাকৃতিক সম্পদের ধারক এ দ্বীপ এবং এর সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত, উপক‚লভাগ ও তলদেশ। অমূল্য এ সম্পদ উত্তোলন সময়ের দাবি।

দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন স¤প্রতি কুতুবদিয়া দ্বীপ পরিদর্শন করেন। বঙ্গোপসাগর কোলে কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চল কুতুবদিয়া-মহেশখালীর ভ‚-প্রাকৃতিক অবস্থানটি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে ব্যবহারের জন্যও সুবিধাজনক। দুই সিস্টার দ্বীপ কুতুবদিয়া-মহেশখালী অচিরেই হবে জাতীয় অর্থনীতির ধনভান্ডার, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইনকিলাব সম্পাদকের পর্যবেক্ষণ, কুতুবদিয়ায় জমির আয়তন কম। দশ হাজার একরের কাছাকাছি। কম জায়গায় ঘনবসতি। বস্তিও গড়ে উঠেছে। দ্বীপবাসীদের স্থানান্তর করা যাবে না। তাই ভ‚মির ব্যবহার তেমন না করেও, বরং দ্বীপের চারপাশে সাগরপাড়ে, সাগরমুখী ও সমুদ্রের মাঝে জ্বালানি খাতের বিভিন্ন অবকাঠামো এবং বন্দর স্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া যায়।

সরেজমিন পরিদর্শনের অভিজ্ঞতায় তিনি জানান, এই দ্বীপ জনপদ বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ধারণ করছে। তা কাজে লাগানোর জন্য অপরিহার্য কুতুবদিয়া দ্বীপের চারদিকে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করে বিদ্যুতায়ন। তাছাড়া মগনামা ঘাট ও কুতুবদিয়া উভয় প্রান্তে প্রশস্ত এবং মানসম্মত কংক্রিট জেটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। জনবহুল ছোট্ট এ দ্বীপ পর্যটন শিল্পের উপযোগী নয় জানিয়ে তাঁর অভিমত, কুতুবদিয়া-মহেশখালীর কাছাকাছি অপরূপ ভ‚-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা। সেখানে উপযুক্ত জায়গা খালি রয়েছে। সুযোগ-সুবিধায় ঢেলে সাজিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে এলাকাটি।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কুতুবদিয়ায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী সরকার। সমুদ্রবন্দর সুবিধা, জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসসহ খনিজ সম্পদ উত্তোলনের লক্ষ্যে সমীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কুতুবদিয়ায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্টেশন ও সাব-মেরিন পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জ্বালানি তেল সরবরাহের দিক যাচাই করা হচ্ছে। কুতুবদিয়ায় মূলত জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশের বৃহত্তম কর্পোরেট শিল্প-বাণিজ্য গ্রুপ বেক্সিমকো, সামিট গ্রুপ, ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপ, পেট্রোনেট, আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানি।

বেক্সিমকো কোম্পানি জ্বালানি ও খনিজ খাতে বড়সড় বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। চলছে টেকনো-ইকোনোমিক স্টাডি। তারা কুতুবদিয়া দ্বীপ ও এর সাগরপ্রান্তিক (অফশোর) প্রায় ৭শ’ থেকে ৯শ’ একর জমি চায় অর্থনৈতিক ব্যবহারের জন্য। চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, বেক্সিমকোর উদ্যোগে ‘কুতুবদিয়া এনার্জি হাব লিমিটেড কোম্পানি’ যৌথ বিনিয়োগে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এর মধ্যে রয়েছে এলএনজি স্টেশন, এলপিজি স্টেশন, বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি। ২০১৭ সাল থেকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এর জন্য অপরিহার্য সমুদ্রবন্দর অবকাঠামো সুবিধা গড়ে তোলা এবং আমদানি যন্ত্রপাতি সাজ-সরঞ্জাম হ্যান্ডলিং ও পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কারিগরি ও আনুষঙ্গিক সহযোগিতা চেয়েছে বেক্সিমকো। ক্রয় ও লিজের ভিত্তিতে প্রায় ৬শ’ একর জমি ব্যবহার করতে আগ্রহী কোম্পানিটি। সেখানে ১০১ একর জায়গার ওপর প্রাথমিকভাবে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে বাদবাকি জায়গায় বাস্তবায়ন করা হবে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো। জ্বালানি ও বন্দর খাতের উপরোক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ কোটি ডলার। এই লক্ষ্যে বেক্সিমকো কোম্পানির উদ্যোগে কুতুবদিয়া দ্বীপের আশপাশে সমুদ্র তটরেখা ও সাগরের তলদেশে পলি-বালি পাতন (সিলটেশন) প্রবণতা সম্পর্কে কারিগরি স্টাডি করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞের মতামত
বঙ্গোপসাগরের বুকে ভাসমান-প্রায় কুতুবদিয়া দ্বীপ এবং এর চারপাশের সমুদ্র তলদেশ ও উপক‚ল প্রাকৃতিক তেল-গ্যাসসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদ মজুদ রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞগণ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এমনটি ধারণা করে আসছেন। কিন্তু বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের অভাবে আটকে আছে সম্ভাবনার দুয়ার। ১৯৭৭ সালে আমেরিকান ইউনিয়ন অয়েল কোম্পানি কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে, যার অবস্থান চট্টগ্রামের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের ৩০টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে আবিষ্কার ক্রমানুসারে নবম অবস্থানে কুতুবদিয়া। তবে মজুদ কম থাকার যুক্তিতে গ্যাস উত্তোলনের এমনকি গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন বা সম্প্রসারণেরও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
কুতুবদিয়া সম্পর্কে গবেষণা করেন এ দ্বীপের অন্যতম কৃতী সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন। গবেষণা নিবন্ধে তিনি জানিয়েছেন, আয়তনে ছোট হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই নিরাপদ পোতাশ্রয় হিসেবে কুতুবদিয়া দ্বীপের গুরুত্ব অনেক। সেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের উপযোগিতা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর মূলত ফিডার পোর্ট। নাব্যতা সীমাবদ্ধতার কারণে মাত্র ১৮ শতাংশ জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারে। বড় জাহাজবহর (মাদার ভেসেল) কুতুবদিয়ার কাছাকাছি বহির্নোঙরে অবস্থান এবং সেখানে মালামাল খালাস করে। এতে করে লাইটারেজে অতিরিক্ত খরচ এবং সময় অপচয় হয়। দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ জরিপে কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়ার উপযোগিতা বেশি বলে আন্তর্জাতিক জরিপকারী দল জানায়। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ, লবণ, প্রাকৃতিক গ্যাস, পর্যটন মিলিয়ে কুতুবদিয়া ধারণ করছে অপার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।

তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে আবিষ্কৃত কুতুবদিয়া এবং এর সন্নিকটে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে গ্যাস মজুদ রয়েছে। সেখানে আরো গ্যাসক্ষেত্র থাকার এবং গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বাংলাদেশের মোট গ্যাসের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ সেখানে মজুদ থাকতে পারে। মজুদ গ্যাসের গুণাগুণ খুবই উন্নতমানের। যাতে রয়েছে ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ মিথেন এবং সাড়ে ৩.৫ শতাংশ ইথেন ও প্রোপেন।

তাছাড়া পরমাণু শক্তি কমিশন ১৯৬৮ সালে কুতুবদিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে মূল্যবান তেজস্ক্রিয় ও ধাতব খনিজ পদার্থের সন্ধান লাভ করে, যার পরিমাণ সাড়ে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মোনাজাইট, জিরকন, ইলমোনাইট, ম্যাগনেটাইট, রুটাইল প্রভৃতি। মোনাজাইট নামক তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, রঙিন টেলিভিশনের উপাদানসহ বহুবিধ উন্নত শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ইলমোনাইট উড়োজাহাজ, গাড়ি ও কেমিক্যাল প্ল্যান্টের যন্ত্রাংশ এবং সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এসব খনিজ পদার্থের বাণিজ্যিক উত্তোলন ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি এবং যথাযথ বিনিয়োগ ও সরবরাহের উদ্যোগ।

নিবন্ধে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন আরো জানান, বাংলাদেশে একমাত্র কুতুবদিয়া দ্বীপে গন্ধকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই গন্ধক উত্তোলনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। তাছাড়া কুতুবদিয়া-মহেশখালী সংলগ্ন সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির অর্থকরী মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, ঝিনুক, শৈবাল প্রভৃতি রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে রূপালী রত্ম লবণ। কুতুবদিয়ার অপার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে দ্বীপের চার দিকে টেকসই উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং পরিকল্পিতভাবে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং ইউপি চেয়ারম্যান (১৯৯২ সাল থেকে তিন মেয়াদে ১৬ বছর নির্বাচিত, বোটানিতে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী) আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন প্র্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ এবং জানাশোনার চেষ্টা করেছে। এর অন্যতম বেক্সিমকো গ্রুপ। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, বর্তমান কুতুবদিয়া লবণচাষি, মৎস্যজীবী, কৃষিজীবীদের কুতুবদিয়া। দশ বছর পরের কুতুবদিয়া হবে সমুদ্রবন্দর ও জ্বালানি সম্পদের কুতুবদিয়া।

দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন কুতুবদিয়া পরিদর্শনকালে অভিমত ব্যক্ত করেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে কক্সবাজারকে ঘিরে যেসব মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন এই প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হলে এখানকার অর্জিত আয় দিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশে রূপান্তরিত করা সম্ভব। বিদেশের কাছে আর আমাদের সাহায্য চাইতে হবে না।



 

Show all comments
  • বাবুল ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    আমাদের কুতুবদিয়ার সমস্যাগুলো উচ্চ মহলে পৌছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীকে এখানকার প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য পরামশ দেবেন বলে আশা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • সালমান আহসান চৌধুরী ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
    দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক মহোদয় জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবের এই সরেজমিন পরিদর্শন এবং তাঁর মূল্যবান অভিমতের মধ্য দিয়েই দেশবাসী আশা করেন, কুতুবদিয়া মহেশখালী দ্বীপের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে, ইনশাআল্লাহ। সরকারের উচিৎ এরজন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Kalam ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    May Allah grant your nice wishes
    Total Reply(0) Reply
  • নোমান ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে, যা দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভুমিকা রাখবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সুমাইয়া আক্তার ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    সরজমিনে দেখে সেখারনকার সার্বিক বিষয়গুলো তুলো ধরে আপনার দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা একটা সংবাদপত্র কিংবা তার সম্পাদকের প্রকৃত ভুমিকা হওয়া উচিত। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম জাযাহ দান করুক।
    Total Reply(0) Reply
  • সিদরাতুল মুনতাহা ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    আশার কথা হলো সরকার আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে ব্লু ইকোনমি সেল গঠন করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ণ হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মাহফুজ আহমেদ ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    কক্সবাজারকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন এসব প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হলে এখানকার অর্জিত আয় দিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করা যাবে। ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • নজরুল ইসলাম ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    কুতুবদিয়া-মহেশখালীসহ দেশের সকল সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Suvro ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    আশা করি যথাসময়ে নিরধারিত বাজেটের মধ্যে প্রকল্পের কাজগুলো সম্পন্ন হবে
    Total Reply(0) Reply
  • বিপ্লব ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    হাজারো খারাপ খবরের মাঝে এই ধরনের ভালো খবরগুলো আমাদেরকে কিছুটা হলেও আশান্বিত করে।
    Total Reply(0) Reply
  • শোভন মাহমুদ ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 1
    কুতুবদিয়া দ্বীপের বিশাল অর্থনেতিক সম্ভাবনাগুলি পরিদর্শন করে যাওয়ার জন্য দৈনিক ইনকিলাব এর সুযোগ্য সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুতুবদিয়ার দিকে সুদৃষ্টি দিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • আকবর আলী ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
    জাতির জন্য বড় সুসংবাদ। ধন্যবাদ ইনকিলাব। সরকারের মনোযোগ বাড়বে আশাকরি।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Siddiqui ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১:২৯ পিএম says : 0
    Many many thanks Mr M M bahauddin for your extra ordinary effort & presentation. I salute your dedication & commitment for my country.Long live and may Allah bless you.
    Total Reply(0) Reply
  • iktiar uddin ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ২:৪০ পিএম says : 0
    Dainik Inqilab k onek thanks
    Total Reply(0) Reply
  • Dinarul Islam ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ২:৫৫ পিএম says : 0
    একটা নিউজ করে দিয়ে বসে থাকলে চলবেনা। ফলোআপ নিউজ দরকার। কথার ফুলঝুড়ি নয়, কাজের বাস্তবায়ন চাই। সরকারের উপর মহলের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ জরুরি। ইনকিলাব সম্পাদককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kayesh ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৭ পিএম says : 0
    কুতুবদিয়ার লবণ এবং মৎস্য সম্পদে ভরপুর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিতক।
    Total Reply(0) Reply
  • Kayesh ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৮ পিএম says : 0
    কুতুবদিয়ার লবণ এবং মৎস্য সম্পদে ভরপুর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিতক।
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম ফারেছ ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৩৫ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীন,, মাননীয় এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করি
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদজিয়াউলহক ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম says : 0
    আপনাকে ধন্যবাদ আমার কুতুবদিয়াকে সারা বাংলাদেশের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আপনি কুতুবদিয়ার মানুষে মন জয় করে পেলেছেন, আল্লাহর দরবারে আপনার দীর্ঘ আয়ু কামণা করছি
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদজিয়াউলহক ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম says : 0
    আপনাকে ধন্যবাদ আমার কুতুবদিয়াকে সারা বাংলাদেশের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আপনি কুতুবদিয়ার মানুষে মন জয় করে পেলেছেন, আল্লাহর দরবারে আপনার দীর্ঘ আয়ু কামণা করছি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ