পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত কদিনে শুধু মিয়ানমার সিন্ডিকেটের পকেটেই গেছে ২১০ কোটি টাকা। মাত্র কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিকেজি ৪২ টাকায় কিনে বিক্রি করা হয় ৯৫ টাকায়। কেজিতে লাভ ৫৩ টাকা। আমদানিকারকরা এভাবে ১৫৯ কোটি নিয়ে গেছেন। এরপর খুচরায় আসতে এ অংক প্রায় ২১০ কোটি টাকা। ভোক্তার কাছ থেকে কয়েকদিনেই এ টাকা চলে গেছে সিন্ডিকেটের পকেটে।
খোদ প্রশাসনের কর্মকর্তারাই পেঁয়াজ নিয়ে মূল্য কারসাজির এমন তথ্য দিলেও ভাঙা যাচ্ছে না সিন্ডিকেট। কয়েকজন আড়তদারকে জরিমানা করা ছাড়া মূল্য কারসাজির সাথে জড়িতদের কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। অতীতের সকল রের্কড ছাড়িয়ে দাম উঠেছে ১৫০টাকায়।
এ অবস্থায় প্রশাসনের তরফে দুইদিন পর থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রির আশ্বাস আদায় করা হলো আড়তদারদের কাছ থেকে। তবে তাদের সে আশ্বাসে ভোক্তাদের আদৌ কোন বিশ্বাস নেই। কারণ আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মুখে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তদারেরা।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আড়তদারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেখানে আড়তদারেরা দুইদিন পর থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রির আশ্বাস দেন। সভায় সার্বিক বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য একটি সেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সেলিম হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপ-সচিব সেলিম হোসেন বলেন, আড়তদারেরা বলেছেন, ক্রেতা যাতে ১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থা তারা করবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এস আলম ও মেঘনা গ্রæপ পেঁয়াজ নিয়ে আসবে। এসব পেঁয়াজ আসলে ৬০-৭০ টাকায় নেমে আসবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ উঠবে আর ভারতের পেঁয়াজও চলে আসবে। তখন দাম ৪০ টাকার নিচে নেমে যাবে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বলেন, ২-৩ দিন পরই আড়তদাররা ৮০-৮৫ টাকা প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করবেন। আর ক্রেতারা খুচরা পর্যায়ে ১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। মূল্য কারসাজির সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের কাউকে আড়তদারেরা চিনেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্রোকারের মাধ্যমে পেঁয়াজ কিনি। ভবিষ্যতে মূল্য তালিকা দেখেই পেঁয়াজ কিনবেন বলে জানান তিনি।
সভায় পেঁয়াজের বাজারে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে প্রায় ২১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সিন্ডিকেটের ১৩ জন সদস্যের নাম- ঠিকানাও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন যারা ভোক্তার পকেট থেকে ২১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সভায় জানানো হয়, রোববার থেকে গতকাল পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে ২০০ টনের মতো পেঁয়াজ এসেছে। আরও ২০০ টন আসছে। এসব পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, কমিটি গঠন করে মনিটর করা হবে- কত দামে কিনছেন আর কত দামে বিক্রি করছেন। আড়তে থাকা বেশি দামের যে পেঁয়াজ কালকের বুধবার মধ্যে বিক্রি শেষ করবেন। এর পরদিন থেকে দেখব কত দামে কিনছেন। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে হবে। এডিসির নেতৃত্বে মনিটরি টিম করে দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে অভিযান চলবে। প্রসঙ্গত গত এক মাসে খাতুনগঞ্জের আড়তে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও মূল্য কারসাজি ঠেকানো যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।