Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূল আসামিরা এখনো অধরা

রাজশাহী পলিটেকনিকের প্রিন্সিপালকে পুুকুরে ফেলার ঘটনা

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেবার ঘটনায় এ পর্যন্ত নয়জনকে পুলিশ আটক করলেও মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। ঘটনার পর পর অধ্যক্ষ আটজন ছাত্রলীগের নেতাসহ অজ্ঞাত পঞ্চাশ জনকে আসামি করে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন।

ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি নেয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গত রোববার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক এমএম ফেরদৌস আলমকে আহবায়ক ও পরিচালক কারিকুলাম মো. নুরুল ইসলামকে সদস্য এবং রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়। গত সোমবার তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ছাত্র শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সাথে আলাপ করে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। পুকুরের গভীরতা দেখে মন্তব্য করেন পনের ফুট গভীর পুকুরে একজন সাঁতার না জানা মানুষকে ফেললে ডুবে মরার জন্য যথেষ্ট। তদন্ত করেছেন তারা যথা সময়ে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানান। তদন্তকালে তারা সন্ধান পান ছাত্রলীগের টর্চার সেলের। প্রশাসনের আশ্বাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ অন্দোলন স্থগিত করেছে।

এদিকে অপকর্মের সাথে জড়িতদের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা হলো, ছাত্রলীগ নেতা কম্পিউটার বিভাগের অষ্টম পর্বের ছাত্র কামাল হোসেন সৌরভ, ইলেক্ট্রনিক্সের পঞ্চম পর্বের মুরাদ, পাওয়ারের সাবেক ছাত্র শান্ত, ইলেক্ট্রিক্যালের সাবেক ছাত্র বনি, মেকানিক্সের সাবেক ছাত্র হাসিবুল ইসলাম শান্ত, ইলেক্ট্র মেডিকেলের সাবেক ছাত্র সালমান টনি, এ বিভাগের সপ্তম পর্বের ছাত্র হাসিবুল এবং কম্পিউটারের সাবেক ছাত্র মারুফ। বাকি আসামিরা অজ্ঞাত। এজাহারে যে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সকলেই এখনো অধরা।
চন্দ্রিমা থানা পুলিশ জানায়, প্রথম দিনে পঁচিশ জনকে আটক করা হলেও এদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা মূল আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ঘটনার মূলহোতা সৌরভকে ছাত্রলীগ স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেছে। একই সাথে পলেটেকনিক শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নিন্দা
রাজশাহী পলেটেকনিক ইনষ্টিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলার নিন্দা জানিয়েছে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন রাজশাহী শাখা। কেন্দ্রীয় নেতা মোকাদ্দাছুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয় সরকার যখন শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে বহুমূখি পদক্ষেপ নিয়েছে তখন তা ব্যাহত করার জন্য একটি কুচক্রি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ