পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719902141](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনী নদীর উৎসস্থল ভগবান টিলার ফেনী ছড়া যাওয়ার পথে তাইন্দংয়ের বটতলী এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মাওলানা ভাষানী অনুসারী পরিষদের বিশেষজ্ঞ টিম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল নদীর উৎসস্থল খাগড়াছড়ির আচালং-তাইন্দংয়ের বটতলী থেকে ফেনী ছড়ার দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তাইন্দং ছড়া পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারা স্থানীয় বাঙ্গালী পাহাড়ীদের সঙ্গে ফেনী নদীর উৎস বিষয়ে চলমান বিতর্ক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এ সময় ভাষানী অনুসারীরা খোলামেলা মতবিনিময় করেন। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, গণদলের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, পানি বিশেষজ্ঞ ও জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ম ইনামুল হক, ইউনূছ মৃধা, ফরিদ উদ্দিন, মোঃ ইসমাইল, কে. এম রকিবুল ইসলাম রিপন এবং ভাষানী অনুসারী পরিষদের ফেনী ও স্থানীয় সদস্যরা। আজ বুধবার সকালে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলটি ফেনী নদীর আমলী ঘাট থেকে মহুরী প্রজেক্ট পর্যন্ত নদী পথে পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকেলে ফেনীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে ফেনী নদীর পানি চুক্তি করেছে তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আমরা সেটি লক্ষ্য করে আজকে ভাষানী অনুসারী পরিষদ নেতৃবৃন্দ পানি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল পরিদর্শন করি এবং আমরা নিশ্চিত হয়েছি ফেনী নদী কোন আন্তর্জাতিক নদী নয়। এটি বাংলাদেশের নদী। কজেই অমিমাংসিত ৫৪ টি অভিন্ন নদীর হিস্যার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ফেনী নদীর পানি দেয়া আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। গণদলের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেছেন, ফেনী নদীর উৎস বাংলাদেশের ভূখন্ডের মধ্যে।
কিন্তু দু-দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক অটুট রাখতে সম্পাদিত ১.৮২ কিউসেক পানি চুক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু গেল ১০/১২ বৎসর ধরে অবৈধভাবে উচ্চ ক্ষমতাস¤পন্ন ৩৬টি পাম্পের মাধ্যমে নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে যাওয়ার চলমান প্রক্রিয়া পানি চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পর চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ হবে কিনা এটি এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রশ্ন।
পানি বিশেষজ্ঞ ও জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ম ইনামুল হক বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সাব্রæম শহরের বাসিন্দাদের পানি সরবরাহের জন্য ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু আমাদের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বিজিবি মারফৎ জানা যায়, ভারত ৩৬টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭০ কিউসেকের বেশী পানি কোনরকম সমঝোতা ছাড়াই উত্তোলন করে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।