Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের সীমান্তে ইসরায়েলি ড্রোন ব্যবহার ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ইসরায়েল থেকে কেনা ড্রোন বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদারে ব্যবহার করছে ভারত। প্রভাবশালী দ্য হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আকাশ পথের পাশাপাশি পানি ও মাটির নিচ থেকেও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নজর রাখছে তারা।

বিএসএফর সূত্রে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার ধুবড়ি সীমান্তে পাচার বন্ধ করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচটি রাজ্যের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আসামের সঙ্গে থাকা ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১১৯.১ কিলোমিটার নদী অঞ্চল। এর মধ্যে পশ্চিম আসামের ধুবড়ি সেক্টরের ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত; যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই স্থানে মানুষের জন্য নজরদারি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই অংশে নজরদারি আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

ভারতীয় পত্রিকাটি জানিয়েছে, ধুবড়ি সেক্টরে নজরদারির জন্য ইসরায়েল থেকে অজ্ঞাত সংখ্যক টেদার ড্রোন কিনেছে বিএসএফ। প্রত্যেকটি ড্রোনের মূল্য ৩৭ লাখ রুপি। এগুলো ব্যবহার করে দিন-রাত সবসময়ই ভালো ছবি সংগ্রহ করা যায়। প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে এগুলো ব্যবহার করে সীমান্তে নজর রাখা সম্ভব।

বিএসএফের গুহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পিযুষ মোরদিয়া বলেন, ‘পাচারের মতো অপরাধগুলো সাধারণত সংঘটিত হয় রাতে। দৃষ্টিসীমার আড়ালে থাকা স্থানগুলোতে নজরদারি করাও বেশ কঠিন। তবে টেদার ড্রোনগুলো ১৫০ মিটার ওপর থেকে অব্যাহতভাবে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম। ফলে আমাদের নজরদারির ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কমে গেছে।’

স্বাভাবিক ও টেদার ড্রোনের পার্থক্য নিয়ে বলতে গিয়ে পিযুষ বলেন, আগের ড্রোনগুলো ৩০ মিনিট পরই নামিয়ে আনতে হতো চার্জ করার জন্য। এছাড়া একটু ঝড়ো বাতাসেই উড়ে যেত সেগুলো। আর ধুবড়ি অঞ্চলে বাতাসও অনেক। মোরদিয়া বলেন, গরু ও মানবপাচারকারীরা টেদার ড্রোন সনাক্ত করতে পারবে। তবে তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি বার্তা দেয়া যেখানে সবাই জানবে যে, দিন-রাত ওই অঞ্চলে নজরদারি চলছে।

ড্রোন ছাড়াও বিএসএফ থার্মাল ইমেজার মোতায়েন করেছে -যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রার মাধ্যমে তাদের চলাচল সনাক্ত করা যাবে। এছাড়া মাটি ও পানির নিচে বসানো হয়েছে সেন্সর। মোরদিয়া বলেন, পানির নিচের সেন্সরগুলো আমাদের এমন তথ্য দেবে যা নৌকার মাধ্যমে টহল দেয়া ছাড়া সম্ভব নয়।



 

Show all comments
  • Hannan Kabir ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    ভালো তো ভালো না । যে দেশের 5 লাখ লোক বাংলাদেশে বৈধ অবৈধ ভাবে কাজ করে 50 হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে তারাই কিনা আবার অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ড্রোন ব্যবহার করে ।আমি ওদের দোষ দেয়ার আগে মেরুদণ্ডহীন এই সরকারকে বলতে চাই আর কত নীচে নামাবে বাংলাদেশীদের? হেড থাকলে ঐ 5 লাখ ভারতীয় তাড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের বেকার সমস্যার সমাধান করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Emran ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    সব চেতনা আজ জেগেছে
    Total Reply(0) Reply
  • খোকন হায়দার ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    গুলি করি নামাইতে পারেনা,নামাইলে কি চাকুরী থাকবেনা
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Golam ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    এই হলো বন্ধু দেশ।গেয়ান পাপি সরকার। দে দে বন্দর সাগর নদি কিছু বাকি নাই।পতিদিন লাস উপহার। আল্লাহ বুজার তপিক দান করুক এই সরকার কে।বন্ধু ও দুশমন বুজার।
    Total Reply(0) Reply
  • Zamal U Ahmed ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    সীমান্ত রক্ষীরা কি করবে। এটি দেখা উচীৎ প্রতিরক্ষা বিভাগকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jahidul Islam Munna ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    অবাক হওয়ার কিছু নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Amir Agnibina ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    ঘুমিয়ে থাকো বাংলাদেশ,
    Total Reply(1) Reply
    • Yourchoice51 ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৪ এএম says : 4
      সাচ বাত; আওর নিদ্ যাও।
  • Nannu chowhan ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম says : 0
    amader porashtro nitir merudondo hin obosta ar kotokal?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ