পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোনো কর্মকর্তা যদি মামলা না দিয়ে অন্য কোনোভাবে সুবিধা নিতে চান। কেউ যদি সেই অভিযোগ করেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সার্জেন্টদের ক্যামেরা দেবো। এমন ঘটনার যদি অভিযোগ থাকে আর যদি সার্জেন্টের ক্যামেরা অন না থাকে (বন্ধ থাকে), আমরা ধরব সে অবৈধ কাজের জন্য বন্ধ রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন আইনের সুযোগ নিয়ে আইন অমান্যকারীর সঙ্গে ব্যক্তিগত খাতির করে কোনো সার্জেন্ট যদি মামলা না দেন তাহলে তার কী হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বাস্তবায়ন নিয়ে গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, আইন সম্পর্কে সার্জেন্টদের মাস খানেক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তাদের বই দেয়া হয়েছে এবং সেই বইয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে। আর আইনের কোনো ধারায় যদি কাউকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে সে বিষয়ে শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলা-জরিমানার নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার বলেন, আইনটি প্রয়োগের আগে আমরা যারা যানবাহন ব্যবহার করি তাদের সচেতন করছি। বাস টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে মাইক দিয়ে আইনের বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। শ্রমিকদের জড়ো করে আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে। জাতীয় পত্রপত্রিকায়ও নতুন আইনের ধারা নিয়ে ফিচার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সার্জেন্ট-টিআইসহ ৮০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগে ডিএমপিতে পস মেশিনের (পয়েন্ট অব সেল) মাধ্যমে মামলা দিতাম, তবে সফটওয়্যার আপডেটের কারণে মেশিনে মামলা দেয়া আপাতত বন্ধ আছে। আমরা আগের নিয়মে কাগজের কেস ¯িøপ বই প্রিন্ট করেছি, সেটা দিয়ে আপাতত মামলা দেয়া হবে।
মামলার ধারাগুলো নিয়ে তিনি বলেন, এই মামলায় নতুন কিছু বৈচিত্র্য আছে। এখানে সাজার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, এতে মানুষের মধ্যে ভয়ে হলেও আইন মানার প্রবণতা সৃষ্টি হবে। উন্নত বিশ্বের মতো আইনভঙ্গের জন্য পয়েন্ট কাটার সিস্টেম করা হয়েছে।
প্রায়ই মামলার কাগজ তোলা নিয়ে অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভোগান্তি রোধে পুলিশের কোনো উদ্যোগ আছে কি নাÑ জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মামলা দিলে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে তার দায়িত্বে কাগজ দেই। অন্য কোথাও কাগজ দেই না। উনার কাছে গেলেই ভোগান্তি ছাড়া গাড়ির কাগজপত্র পাওয়া যাবে।
আইনের ধারাগুলোতে সর্বনিম্ন টাকার পরিমাণ লেখা না থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তির পরিমাণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ কিভাবে মামলা দেবে? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, নতুন আইন যদি কেউ প্রথমবার ভঙ্গ করে তাহলে তাকে সামান্য পরিমাণ জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তাকে একটি লিফলেট দেয়া হবে যে, পরবর্তীতে এই একই অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করতে হবে। প্রথম এক সপ্তাহ নতুন আইনে কোনো মামলা হবে না। এরপর থেকে রশিদের মাধ্যমে মামলা নেয়া শুরু হবে। আর পস মেশিনের সার্ভার আপডেট করার পরে এ পদ্ধতিতে মামলা নেয়া হবে। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে পার না হলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এই পরিমাণটি আগে ছিল ২০০ টাকা। অথচ রাজধানীর অনেক সড়কে ওভারব্রিজ বা জেব্রা ক্রসিং নেই। সেক্ষেত্রে কিভাবে মামলা দেয়া হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব জায়গায় জেব্রা ক্রসিং নেই ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের রাস্তা পারাপারে সাহায্য করবেন।
ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে ৯৯% যাত্রী হেলমেট পরছে। গুটিকয়েক পরছে না, যাদের অধিকাংশই পুলিশ ও সার্জেন্ট। এই আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ স্বচ্ছ থাকবে। আমরা পুলিশের সবাইকে বলে দিয়েছি, ট্রাফিকের লোকজন যদি আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।