পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার নামের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০ টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, কেবিনেটের অনির্ধারিত আলোচনায় রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ছাত্র যে মৃত্যু বরণ করেছেন বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। সবাই এ ঘটনায় উদ্বেগ-হতাশা প্রকাশ করেছে এবং শোক জানিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি স্কুলে কিশোরদের নিয়ে যখন এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয় তখন সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু অনুষ্ঠানে যে বিদ্যুতের তার টানা হয়েছিল সেটার নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। কারণ, প্রথমিকভাবে অনেকেই বলেছেন, অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুতের তার টানা হয়েছিল সেটায় স্পৃষ্ট হয়ে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত নিহত হয়েছে। এখানে কারও গাফলতি বা কারও দায়িত্ব পালনে গাফলতি ছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। আরও একটি বিষয়ে সবাই বলেছে ও হতাশা ব্যক্ত করেছে। একটা ছাত্র মারা গেছে তারপরও অনুষ্ঠানটি চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্র মারা যাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানতে পেরেছে হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালে যখন তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার পকেটে স্কুলের মনোগ্রাম দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্কুলে ফোন দিয়ে জানায়। তখন তারা জানতে পারে তাদের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কেবিনেট কি এ বিষয়টি অবজারবেশনে বা তদন্তে রেখেছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি কেবিটেনের বিষয় নয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো অপমৃত্যু হলে একটি মামলা হয়। এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কতটুকু ভ‚মিকা নেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। কিশোর আলো তো প্রথম আলোর অঙ্গ সংগঠন। সে অনুষ্ঠানেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যারা আয়োজন করেছিল তাদের কি গাফলতি ছিল সেটা অবশ্যই তদন্তে রেব হয়ে আসবে।
১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নাইমুল আবরার। আয়োজকরা তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক নাইমুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।