পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৪৬৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কেবল ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেছে ১৮৩টি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। দেশের ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৮৩টি ধর্ষণের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার ২৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ২ জন, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩০ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ জন।
একই সময়ে এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৩ জন। পতিতালয়ে বিক্রি হয়েছে ২ জন। বিভিন্ন কারণে ৪৫ জন নারী ও কন্যা-শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৭ জনকে। যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৯ জনকে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আরও ৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছে ২ জন। এছাড়া ৫৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, অক্টোবরে বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি, তন্মধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৩১ টি। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১৯ জনকে। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ২টি। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ জন। এছাড়া ২০টি অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। প্রতি মাসেই সারাদেশের নারী-শিশু নির্যাতন নিয়ে সংস্থাটি এমন তথ্য প্রকাশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।