পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই শতাংশ অর্থ আগাম পরিশোধসাপেক্ষে খেলাপিদের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারকে বৈধ ঘোষণা করে তার মেয়াদ ৯০ দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এসব ঋণ খেলাপিদের নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১২ সালের মাস্টার সার্কুলার অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ওই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনে দেয়া রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার এ রায় দেন। রায়ে ঋণের নামে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম তদন্তে ৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করতে বলেন। খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি গ্রহণের অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
আদালত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্কুলার জারি করেছিলো সেটিই বহাল থাকলো। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশেন বাংলাদেশ (বিএবি)র কৌঁসুলি শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আদালতে আমরা যেসব দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছি যেসব যুক্তি দিয়েছি আদালত সেটি গ্রহণ করেছেন। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এটি একটি রেগুলেটরি বডি। এই বডির ওপর কমিশন গঠন করা হলে আরো জটিলতা তৈরি হতো। এছাড়া নির্দিষ্ট একটি ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুন:তফসিলিকরণের বহু নজির বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে এ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা বলেছি, এটি কোনো সুযোগ নয়। এটি সরকারের পলিসি। নানা শর্তের বেড়াজালে আটকিয়ে ২শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুন:তফসিলের সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। তারা নতুন কোনো ঋণ পাবে না। তাই নতুন করে খেলাপি হওয়ারও সুযোগ থাকছে না। এ রায়ের পর ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ করে ঋণ গ্রহিতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ পুন:তফসিলিকরণের সুবিধা দিতে পারবে। রুলের শুনানিতে রিটকারী মনজিল মোরসেদ অংশ নেন। অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষে মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, মো. মুনীরুজ্জামান, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শাহ মঞ্জুরুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত: ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুন:তফসিলিকরণের আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ নামক মানবাধিকার সংগঠন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রæয়ারি ১৩ ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়। গত ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে। এদিকে বিচারাধীন অবস্থায় গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট-সংক্রান্তু সার্কুলার জারি করা হয়। সেক্ষেত্রে রিটকারীর আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ রুলের ওপর টানা ১৪ কার্যদিবস শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত গত ২৮ অক্টোবর রায়ের তারিখ ধার্য করেন। সে অনুযায়ী গতকাল এ রায় দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।