পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বব্যাংক উন্নয়ন ইস্যু ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। বাংলাদেশ এখন ৮ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি। ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হবে। সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ বিরাট সাফল্য দেখিয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের বন্ধু। উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রæত অর্থনৈতিক বর্ধনশীল দেশ। দারিদ্র্য কমানোসহ অর্থনীতির নানা সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাত কাজ করছে। নানাখাতে উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মডেল। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার কথা স্বীকার করি। আমরা বিশ্বাস করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সমৃদ্ধ, শান্তির, বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন দেখিছিলেন, আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। এদিকে অনুষ্ঠানে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিশ্বব্যাংক কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। তাই এই ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বিনিয়োগকারী আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো বিশ্বব্যাংকও আগের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্রমাগত প্রশংসা করেছে।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক। এর আগেও স¤প্রতি একই জায়গায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এবং আলবেনিয়া, গ্রিস, ইতালি, মালটা, পর্তুগাল, সান মেরিনো ও তিমোর লেস্তায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ প্যাট্রিজিও প্যাগানো।
কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ নিজেই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠবে আগামীতে। কারণ কাগজে বাংলাদেশের যে অর্জন, সেটার বাস্তবতাও রয়েছে। এ সময় প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল আমরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। আমরা অবাক হয়েছি যে, বিশ্বে দ্রুত উন্নয়ন করা দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখ করার মতো। দারিদ্র্য দূর করা বিশ্বব্যাংকের প্রধান কাজ। তাই বাংলাদেশের এই অর্জনে আমরা খুশি।
তারপরও বাংলাদেশের বড় একটা অংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। দেশের সব মানুষই উপকারভোগী হবে এমন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করতে চায় বলেও জানান তিনি।
প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিশ্বব্যাংক কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। তাই এই ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নে দেশের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে বেসরকারি খাতেরও এ ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়া দরকার। বেসরকারি খাতও ভালো কাজ করে। এক প্রশ্নের জবাবে প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, আপনাদের উচিত নিজেদের জনগণের জন্য বিনিয়োগ করা। বিনিয়োগ বলতে শুধু ভৌত অবকাঠামোকে নির্মাণ করাকেই বোঝায় না, মানবসম্পদ উন্নয়নকেও বোঝায়। মানবসম্পদ বলতে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়কে ইঙ্গিত করে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে অনেক কাজ করছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।