Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

‘আবরার হত্যায় নির্ভুল চার্জশিট দিতে চাই’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চার্জশিট শিগগিরই দেয়া হবে। নির্ভুল চার্জশিট না হলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যায় না। তাই আবরার হত্যার ঘটনায় আমরা নির্ভুল চার্জশিট দিতে চাই। আমি নিজে প্রতিনিয়ত এর খোঁজখবর নিচ্ছি। গতকাল রোববার সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের বিএসআরএফ আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দেয়া তথ্যে আট জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জঙ্গি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুযায়ী আল্লাহর দল নামধারী আট জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার ঘটনাটি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

সাগর-রুনির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ছিল আট বছর আগে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় র‌্যাব এর তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ক্যাসিনো ও জুয়া বৈধ নয়। সংবিধানে জুয়া ক্যাসিনো নিষিদ্ধ করা আছে। আমরা এর বিরুদ্ধে কাজ করছি। ক্যাসিনো ও জুয়া যারা সংগঠিত করছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ যারা ক্যাসিনো বা জুয়া খেলছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে কয়েক লাখ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের যে ভিডিওটি ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে তার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রচার করা ভিডিওটি এই দেশের নয়। দেশের বাইরে অন্য কোথাও। সরকারের চলমান অভিযানের নাম শুদ্ধি অভিযান কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুদ্ধি অভিযান বলছি না। আমরা বলছি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই অভিযান। এই অভিযানে দলীয় নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, যে কেউ আসতে পারে। যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, তাকেই এর আওতায় আনা হবে।

উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও এই অভিযান চলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো সেক্টর বা এলাকার ওপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালনা করছি না। যেখানে অনিয়ম, দুর্নীতি হচ্ছে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজ যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে না পারে, সেজন্যই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এই অভিযানে নির্দোষ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা আমরা চাই না।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা। ওইসব দেশের সন্ত্রাসীরাও অনেক সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে গেলে তারা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ