Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩৩ প্রকৌশলীকে দুদকে তলব

বালিশকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকান্ডসহ অন্য দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৩ প্রকৌশলীকে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার সংস্থার উপ-পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন এ নোটিস দেন। আগামি ৬ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। প্রকৌশলীদের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক শওকত আকবর ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. হাসিনুর রহমানসহ ৪ কর্মকর্তাও রয়েছেন। তাদেরকে ১৩ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়।

এছাড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হকে ৬ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম এম জিল্লুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন কুমার নন্দী, মো. শাহীন উদ্দিন এবং মো. জাহিদুল করিমকে হাজির হতে বলা হয় ৭ নভেম্বর।

১১ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়, রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, মো. রওশন আলী, রাজশাহী সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসানুল হক এবং খোরশেদা ইয়াছরিবাকে।
রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন, শাহনাজ আক্তার, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিউজ্জামান, মো. রওশন আলী এবং রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মকলেছুর রহমানকে ১২ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকান্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এ টিমের সদস্য।
রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলনের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়দুটি তদন্ত কমিটি করে। কমিটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। এভাবে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে তদন্ত প্রতিবেদনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ