পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার ১২ বছর পর স্বামীসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আসামিরা হচ্ছেন- হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সোহেল ফকির, তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন ও লিটন মিয়া।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর সিআইডির ঢাকা মেট্্েরা পূর্বের একটি টিম ভালুকা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. সোহেল ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, পরদিন গাজীপুর থেকে তার সহযোগী আসামি আনোয়ার হোসেন এবং লিটন মিয়াদের গ্রেফতার করা হয়। সোহেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানতে পারে, সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন বিভিন্ন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে নিজের পরিচয় গোপন করে কামরুল হাসান নাম দিয়ে চাকরি করতো। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডটি ঘটে ২০০৭ সালের ২৭ জুলাই। সোহেল ফকির পরিচয় গোপন করে ২০০৬ সালে রত্মা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর রত্মার একটি ছেলেসন্তান হয়। তার নাম মো. নুরুজ্জামান। কিন্তু সোহেল ফকির এ বিয়ের কথা গোপন করে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট নিবাসী কল্পনা আক্তার নামে অপর এক গার্মেন্ট কর্মীকে বিয়ে করেন। কল্পনা আক্তারের আত্মীয়স্বজন আসামি সোহেল ফকিরের প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে তাকে ফকিরকে দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামি সোহেল ফকির তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনার মামা লিটন মিয়া এবং খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গাজীপুর কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক-মির্জাপুর রেললাইনের পাশে নিয়ে রত্মা বেগমকে (২০) শ্বাসরোধ করে এবং তার দুই মাস ১৭ দিন বয়সের শিশুসন্তান নুরুজ্জামানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন জাহান জানান, এ ঘটনায় রত্মার বাবা সোহেল ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়। কিন্তু আসামির স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী কোনো ঠিকানা না থাকায় রেলওয়ে পুলিশ আলোচ্য মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের নারাজির প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে আসে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি সিআইডির হাতে আসে। এরপর থেকেই সিআইডি মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, খুনিদের শনাক্তকরণ এবং গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।