Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে রয়েছে -- সালমান এফ রহমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার একটি মান সম্মত এবং অভিন্ন কারিকুলাম করা হবে যাতে প্রশিক্ষণের মানদন্ড বজায় থাকে। দেশের সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন তথ্য উল্লেখ করে সালমান ফজলুর রহমান বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে রয়েছে। প্রযুক্তির কারনে কর্মক্ষেত্রে মানুষের ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মানুষের বিকল্প হিসেবে যে কাজ রোবট কাজ করবে, আমাদের এখন সেই রোবট নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে বলে তিনি তাগিদ জানান। দক্ষতার উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিকের সংযোগ নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা কারিকুলামে কোডিং অন্তর্ভূক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলার জন্যই এর গুরুত্ব রয়েছে। 

গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। ‘ইয়থ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়রশিপ’র চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত প্রিজম প্রকল্পের সহায়তায় গোলটেবিলের আয়োজন করে উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিয়র অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডবিøউইএবি)।
গেষ্ট অফ অনার ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। কি-নোট উপস্থাপন করেন প্রিজমের দলনেতা আলী সাবেত। স্বাগত বক্তব্য ও আলোচনায় সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন ডবিøউইএবি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আওয়াল নাসরিন আওয়াল। আরো উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাফিজুল হক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফাস্ট সেক্রেটারি এবং এডুকেশন ও হিউম্যন ডেভলপমেন্টের টিম লিডার হানস ল্যমব্রেথ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে যুব কর্মসংস্থানের অন্যতম চ্যালেঞ্জ মান সম্পন্ন কর্মসংস্থান। অন্যতম আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈষম্য। যার শিকার হন অধিকাংশ নারীরা। সরকারের সহযোগীতায় নিজ তাগিদেই এই বৈষম্য দূর করতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে নারীদের। সার্বিকভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় দেশের জনগোষ্টিকে প্রস্তুত হতে হবে। বিপ্লব মোকাবেলায় দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যুক্ত হবে ফাইবার অপটিক।
ড. গওহর রিজভী বলেন, নারী প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজন আমাদের আছে। এটা ছাড়া বৈষম্য কমবে না। পরিবারসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক মানসিকতা বিরাজ করছে। বৈষম্যমূলক আচরণ করছে এমন মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্বেও রয়েছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন না আসলে সমাজ কিভাবে এগিয়ে যাবে? জাইকা এসএমই খাতের জন্য একটি বড় অংকের টাকা দিয়েছে যা এখনো অব্যবহৃত। বিনিয়োগের জন্য অর্থ আছে তবে সে অর্থ উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন না। আইএলও প্রতিনিধির দেয়া তথ্যটি ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক ডিপোজিটের ২৮ শতাংশ নারীদের। মোট ঋণের মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ নারীদের।
সরকার যখন গ্রামীণ উন্নয়নে দিকে নজর দিচ্ছে তখন এটা কিভাবে সম্ভব এমন তথ্য উল্লেখ করেন গওহর রিজভী বলেন, নারীদের জোর গলায় বলতে হবে, সমস্যা হলো নারী সিদ্ধান্ত গ্রহীতার অভাব। যদিও আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী। করপোরেশন, বোর্ডগুলোতে আরও বেশি নারী না আসলে হবে না। বিভিন্ন দেশে নিয়ম আছে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নারী থাকতে হবে। এ ধরণের নিয়ম অনুসরণ না করলে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনও দেয়া উচিত না। বক্তব্য শেষে উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করেন গওহর রিজভী। তিনি জানতে চান কেনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাহী পর্যায়ে নারীর পরিমাণ কম?#

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ