পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের নানা তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের দ্বিতীয় দিনেও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। গতকালও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সেই আগের মতো বেপরোয়া গতি ও ঝুঁকি নিয়ে বাস ওভারটেকিং করতে দেখা গেছে।
আগের মতোই হেলমেটহীন মোটর সাইকেল চালকদের পাশাপাশি নিষিদ্ধ তিন চাকার যান চলতে দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন যানবাহন চালকরা বলছেন, নতুন আইনের কার্যকরিতা সম্পের্কে এখনও কিছুই জানেন না। অপরদিকে সড়কে যারা এই আইন কার্যকর করবে ট্রাফিক কিংবা হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ তারাও বলছেন, এখনো কোন নির্দেশনা পায়নি। গতকাল শনিবার মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় পূর্বের ন্যায় পথচারীদের হাত দেখিয়ে রাস্তা পারাপার করতে দেখা গেছে।
সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে ফেনী পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে মহাসড়কে শত শত পথচারী এখনো ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। গতকাল দুপুরে মহাসড়কের আলেখারচর মায়ামী হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে গাড়ি থামালে কথা হয় ঢাকা থেকে ফেনী চলাচলকারী স্টার লাইন পরিবহনের চালক শাহ-আলমের সঙ্গে। ৫ বছর ধরে মহাসড়কে বাস চালালেও সিটবেল্ট পরা তো দূরের কথা কখনও বাসে সিটবেল্ট দেখেননি তিনি।
শাহ-আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সিটবেল্ট থাকলে পরবো। আমরা বেপরোয়া গাড়ি চালাই না, মহাসড়কের অনেক জায়গায় এখনো রিকশা, অটোরিকশা আর সিএনজি চলে। তাদের কারণে আমাদের সাইড কেটে যেতে হয়। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও অনেক মালিক এখনও চুক্তিতে চালকদের বাস চালাতে দিচ্ছেন। এতে নিজ কোম্পানির বাসের মধ্যেই তৈরি এক ধরনের প্রতিযোগিতা।
সড়কে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা সম্পর্কে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলন করা মহিউদ্দিন আলম বলেন, এই সমস্যা সমাধানে মালিকদের আন্তরিকতা দেখা যায় না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো জন্য সবচেয়ে বড় অংশীদার গণপরিবহনের মালিক ও চালকরা। তাদের আন্তরিকতায় ঘাটতি আছে।
এত দিন মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এবং মোটরযান বিধিমালা ১৯৮৪-এর অধীনে সড়ক পরিবহন খাত পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত শুক্রবার থেকে আগের আইন ও বিধি অকার্যকর হয়ে গেছে। তবে নতুন আইনের বিধি এখনো মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে এসে পৌঁছায়নি। নতুন আইন, বিপুল পরিবর্তন সত্তে¡ও তা জনগণ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের জানাতে গতকাল কোথাও সরকারের তেমন একটা তৎপরতা দেখা যায়নি।
তবে আইন প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলো বলছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে বেশির ভাগ ধারার জরিমানা ১০ থেকে ৫০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিছু কিছু ধারায় তা এক হাজার গুণ বেড়েছে। আগে যেসব ধারায় তিন মাস কারাদন্ডের বিধান ছিল, এখন তা তিন বছর পর্যন্ত হয়েছে। আইনের বেশির ভাগ ধারাতেই সর্বোচ্চ শাস্তি কত হবে তা আছে, সর্বনিম্ন শাস্তির উল্লেখ নেই।
ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা নির্বাহী হাকিমরা সড়কে কোন অপরাধের জন্য কী পরিমাণ জরিমানা করবেন এ নিয়ে কিছুটা জটিলতার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা একই অপরাধে একেক পরিমাণ জরিমানা করতে পারেন।
হাইওয়ে পুলিশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন আইনের প্রয়োগ নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রচারের জন্য লিফলেট তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশ রাস্তায় যন্ত্রের সাহায্যে মামলা করে। নতুন আইনে জরিমানা এত বেশি যে তা যন্ত্রের সফটওয়্যারে ধরছে না। এ জন্য নতুন আইনে মামলা করা হবে কাগজের ¯িøপের মাধ্যমে। সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাকচালক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের অভিযোগ, কোনো একটা সুযোগ পেলেই মামলা ঠুকে দেন সার্জেন্টরা। কখনও কখনও রেকার লাগানো হয়। সবকিছু ঠিক থাকার পর অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের অভিযোগে প্রতিদিনই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয় বলে চালকদের অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।