পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাজ নিয়ে সউদী আরবে গিয়ে নারী কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল করে ফোরামের নেতারা। সউদী আরবসহ প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদপত্রে আসা তথ্যের বরাত দিয়ে ফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সউদী আরবে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে এ বছর জানুয়ারি থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে ফিরেছেন ৮৫০ জন নারী। এর মধ্যে অগাস্ট মাসে একদিনেই ফিরেছেন ১০৯ জন। তাদের অনেকে সেখানে শারীরিক-মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন জানিয়ে ফোরাম বলছে, চলতি বছর দশ মাসে সউদী আরবসহ অন্যান্য দেশ থেকে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ১১৯ গৃহকর্মী।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় ফোরামের ঢাকা নগর শাখার সদস্য রুখসানা আফরোজ আশা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ঢাকা নগর শাখার সভাপতি জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন। নির্যাতন সইতে না পেরে সব খুইয়ে দেশে ফিরে আসছেন। দেশে রেমিটেন্স পাঠানো এই শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সরকার কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও প্রবাসে দূতাবাসগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে না বলেও অভিযোগ করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতারা।
সউদী আরবে ‘নির্যাতনের শিকার হয়ে’ নিহত নাজমা হত্যার বিচার দাবি করা হয় সমাবেশে। মানিকগঞ্জের এই নারী ১০ মাস আগে দালাল ধরে সউদী আরবে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে হাসপাতালে কাজ দেয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দেয়া হয় গৃহকর্মীর কাজ। নির্যাতনের কারণে গত ২ সেপ্টেম্বর সউদী আরবেই মারা যান ৪০ বছর বয়সী নাজমা। পরিবারের অভিযোগ, গৃহকর্তার নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে। নাজমার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারকে অবিলম্বে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।