পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খুৎবাহ-পূর্ব বয়ানে সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ ও রাসূল সা.-এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরামের জীবনী আমাদের জন্য আদর্শ। রাসূল সা.- এর জীবনের প্রতিটি কর্মকান্ডকে সাহাবায়ে কেরাম জীবনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেছেন। এ জন্যই মহান আল্লাহপাক সাহাবায়ে কেরামকে সর্বোচ্চ শান মর্যাদা দিয়েছেন।
আগামীকাল ৩ নভেম্বর হযরত ওমর (রা.) ওফাৎ বার্ষিকীর কথা স্মরণ করে মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, হযরত ওমর (রা.) প্রায় দশ বছর খেলাফতের সময়ে গোটা বিশ্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করে গেছেন। মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, খেলাফতের শাসন ব্যবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমে হযরত ওমর (রা.) এতটাই সচেতন ছিলেন যে, একদা তিনি ঘোষণা করেন, ফোরাত নদীর তীরে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে আল্লাহর কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। অথচ বর্তমান সমাজে একজন মানুষকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এ ধরনের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কেউ এগিয়ে আসে না। মানুষ দিন দিন এতই মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে।
মুফতি মিজানুর রহমান খুৎবাহ-পূর্ব বয়ানে আরো বলেন, সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসলেই দেশে ন্যায় ও ইনফাসভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।