পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়লা প্রকল্প বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতি ধ্বংস করবে উল্লেখ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ এবং সৌরশক্তি ব্যবহারের দাবিতে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সামাজিক ও পরিবেশবাদী গণসংগঠন সমূহের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যজোট ‘দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু সংকট নিরসনে গণকর্মসূচি (সাপাক)।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ও সাপাক-এর আঞ্চলিক সমন্বয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ও বাপা’র নির্বাহী সদস্য মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান (উপদেষ্টা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স), অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ (সভাপতি ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট), রুহিন হোসেন প্রিন্স (তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য),
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ সমুদ্রের নোনা পানির ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। আর এই শতাব্দী শেষে ক্ষতির শিকার মানুষের সংখ্যা সাত কোটিতে পৌঁছাবে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল আইপিসিসি থেকে বিশ্বের সমুদ্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে আশঙ্কার চেয়ে দ্রুত হারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং তাতে এই উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। দেশের উপকূলের বেশির ভাগ এলাকায় বেড়িবাঁধ রয়েছে। ওই বাঁধগুলোর গড় উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট । কিন্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব মোকাবিলায় এসব বাঁধ যথেষ্ঠ উঁচু নয়। তিনি বলেন, এতদিন ধারণা ছিল এই শতাব্দীর মধ্যে, অর্থাৎ ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দুই মিটার বাড়বে। নতুন তথ্য বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যেই একই পরিমাণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে। এত দিন ধারণা ছিল, বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বিপদে পড়বে, এখন মনে হচ্ছে এর সংখ্যা ৬৪ কোটিতে দাঁড়াবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বৈশ্বিক গ্যাস নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত নগণ্য (০.৩%); তা স্বত্তেও বাংলাদেশকেই এর অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষতির স্বীকার হতে হবে। বিজ্ঞানে বলা হচ্ছে - গত তিন বছরের যে অতিরিক্ত গরমের তাপ আমরা খোদ ঢাকা মহানগরীতে ও সারা বিশ্বে ভোগ করছি, তা বিগত ১২ বছর আগে নির্গত গ্যাসের কারণে হচ্ছে। তারপর পার হয়েছি একযুগ। আর আজ থেকে আরো ১২ বছর পর নির্গত গ্যাসের পরিমাণ এতই ক্ষতিকর হবে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আর নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকবে না, বিশ্বের সার্বিক মারাত্ম ক জলবায়ু দুর্যোগ হবে অপরিবর্তনীয়; মানুষ সহ সকল জীব-গাছপালা হবে মৃত্যুমুখী। ২১০০ সালে নয়, আমাদের মহাদুর্যোগ স্থায়ী হয়ে বসবে ২০৫০ সাল থেকেই। বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি পানির তলায় নিমজ্জিত হবে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে উৎখাত হবে ৫-৭ কোটি মানুষ। ধ্বংস হবে আমাদের পরিবেশ, প্রকৃতি, ফসল ও সকল সম্পদ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের সরকার আজ পরিবেশের ব্যাপারে চরম উদাসীন। তাই আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি যাদের বিদেশে সেকেন্ড হোম নাই তাদেরকেই পরিবেশ রক্ষায় একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সরকারকে বাধ্য করতে হবে পরিবেশের পক্ষে কাজ করতে।
হাসান ইউসুফ খান বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত কার্বন এ সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে। এতে বিলীন হয়ে যাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, তাই এখনি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।