Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বীমা কোম্পানির আমানতে চোখ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও নানা কেলেঙ্কারির কারণে চরম তারল্য সঙ্কটে রয়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বীমা কোম্পানিগুলোর আমানত রাখতে চায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমন্বয় সভায় এ দাবি করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ), সমবায় অধিদফতর, যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্র জানায়, বীমা কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদি আমানত সংগ্রহ করে। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে। কিন্তু পর্যাপ্ত তারল্য না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারছে না। তাই বীমা কোম্পানিগুলোর আমানত ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাখার দাবি করেছে বিএলএফসিএ, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আরও ত্বরান্বিত হবে।
তবে বীমা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বলছে, এ ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে মতামত দিয়েছে আইডিআরএ।
যৌথ মূলধনী কোম্পানির নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে পরিচালকদের কেউ অন্য কোনো ব্যাংকে ঋণখেলাপি কি না সে বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি বিভাগে সরাসরি প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আসছিল যৌথ মূলধনী কোম্পানির নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আরজেএসসি। কিন্তু ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী সিআইবি বিভাগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশাধিকার পায় না। সুতরাং এই সুযোগ দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আরজেএসসিতে বিশেষ দুইজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাকে তাদের ভাষায় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এদিকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পক্ষ থেকে বিশেষ বন্ড চালুর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে সেই প্রস্তাব তুলে নেয়া হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে বিশেষ বন্ড চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিএসইসি।
সভায় বলা হয়, কিছু সমবায় প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামের সঙ্গে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সংশোধিত বীমা কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো সমবায় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছাড়া তাদের নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আজিজ কো-অপারেটিভ এবং মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ তাদের নামের শেষে ব্যাংক শব্দ ব্যবহার করে আসছে। এ বিষয়ে সমবায় অধিদফতর থেকে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তারা হাইকোর্টে রিট করে, যা এখনো চলমান রয়েছে। সভা থেকে সমবায় অধিদফতরকে এ বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ