Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে ২৮ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৯ এএম | আপডেট : ৯:০৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

চলতি মাসের ২৮ তারিখ থেকে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট সবার পেতে সময় লাগবে। তবে আমরা এটি শুরু করছি। ২৮ নভেম্বর থেকে এটা দেওয়া শুরু হবে। ই-পাসপোর্ট বিলম্বের কারণ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা দেরি হচ্ছে। ইউরোপ সফরকালে আমি জার্মানিতে যাই। সেখানে ই-পাসপোর্ট তৈরির দায়িত্বে থাকা ভেরিডোস জেএমবিএইচ-এর সাথে এটা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট পাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সবাই পাবেন। আর সেটার মেয়াদ হবে ১০ বছর। কারণ, প্রবাসীরা অভিযোগ করেছেন, পাসপোর্ট নবায়ন করতে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আর নবায়ন করার ক্ষেত্রে আরো কম সময় লাগা উচিত।

কেমন হবে ই-পাসপোর্ট
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। তবে কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।

বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে ‘পাবলিক কি ডাইরেকটরি’তে (পিকেডি)। আন্তর্জাতিক এই তথ্যভান্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভান্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারে।

ই-পাসপোর্টের বাহক কোনো দেশের দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে নেবে এবং আবেদন গ্রহণ করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা বাতিল করে সিল দেবে। স্থল ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও একই পদ্ধতিতে পিকেডিতে ঢুকে ই-পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করবে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে চাহিদামোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। যাদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাদের এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাদের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট থাকবে, তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান থাকবে। ###

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ