Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক পরিবহন আইন আজ থেকে কার্যকর

মালিক শ্রমিকদের উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

 

বহু বছরের পুরনো মোটরযান অধ্যাদেশ বাতিল করে তৈরি হয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে আলোচিত এই আইনটি। নতুন আইন কার্যকর করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে বিআরটিএ, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

তবে সড়ক পরিবহন আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের মতে, সুপারিশ গ্রহণ না করে আইন বাস্তবায়ন হলে, মালিক শ্রমিকদের উৎকণ্ঠা এক সময় সমস্যা হিসেবে দেখা দেবে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট নামে একটি আইন ছিল। সেই আইনটি ১৯৮৪ সালে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দাবির প্রেক্ষতে কিছু সংশোধন করে মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট ১৯৮৩ নামে আইন করা হয়েছিল। কিন্তু মৌলিক দিকগুলো তেমন পরিবর্তন হয়নি। আমরা সব সরকারের কাছে বলেছি যুগোপযোগী একটা আইন দরকার। কেননা ১৯৩৯ সালে যে যানবাহন ছিল, আর তখনকার পরিস্থিত আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়।

নতুন আইনে চালক ও কন্ট্রাক্টরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শাজাহান খান বলেন, আইনে আছে ড্রাইভার ৮ম শ্রেণি পাস হতে হবে এবং কন্ট্রাক্টর হওয়ার জন্য হতে হবে ৫ম শ্রেণি পাস। এখন প্রশ্ন একজন কন্ট্রাক্টর বা সুপারভাইজার যদি দীর্ঘদিন গাড়িতে কাজ করতে করতে ড্রাইভার হয়। তিনি একজন দক্ষ ড্রাইভারও হতে পারেন। তাহলে সেই ড্রাইভার ৮ম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট কোথায় পাবেন? সেজন্য আমরা বলেছি এদের ক্ষেত্রে আইনের শিথিলতা দরকার।

সড়ক পরিবহন আইনের একটি ধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনে আরও আছে দুর্ঘটনার কারণে ৫ বছর জেল, ৫ লাখ টাকা জরিমানা-এটা ঠিক আছে। তবে আমাদের দাবি হচ্ছে জামিনযোগ্য করা। আইনে আছে ৩ বছরের অধিক সাজা হলে সেখানে জামিনযোগ্য করার সুযোগ নাই। তাহলে এদেরকে কি করা যাবে। এমনিতেই দেশে ড্রাইভারের সংকট রয়েছে। লাখ লাখ ড্রাইভারের ঘাটতি।

এ বিষয়ে একটা যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ধরেন যদি প্রতি বছর আড়াই হাজার বা তিন হাজার দুর্ঘটনা ঘটে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর যদি আড়াই হাজার তিন হাজার ড্রাইভার জেলে যায় আর যদি জামিন না হয় তাহলে গাড়িটা চালানোর লোক কোথায়?

এদিকে, নতুন আইন বাস্তবায়নের জন্য পথচারিদেরকে সচেষ্ট হতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সড়কে দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য অংশ ঘটে পথচারিদের অসচেতনতার কারণে। সে কারণে পথচারিদের বিষেয় আইনের প্রয়োগ দরকার। কোনোভাবে কাউকে ছাড় দেয়া যাবে। যেখান সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে হবে। ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ