পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেবল বিবাহিত এই অজুহাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বাদ না দিয়ে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, ত্যাগের কথা বিবেচনা করে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বিবাহিত ছাত্র নেতারা। এই দাবিতে গত বুধবার থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনশন করছেন তারা।
অনশনকারী ছাত্রনেতারা অভিযোগ করে বলেন, যখনই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয় তখনই কিছু লোক ছাত্রদল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালায়, কাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখবে আর কাকে বাদ দেবে, এই চক্রান্ত শুরু করে। তাদের স্বার্থ অনুযায়ী বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে ছাত্রদলকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে দেশনায়ক তারেক রহমান পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। এখন যখন পূর্ণাঙ্গ গঠন করা হবে, তিনি চেয়েছেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হোক। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, যাদের আমরা এতদিন অভিভাবক মনে করেছি, যাদের নেতৃত্বে আমরা এতদিন পরিচালিত হয়েছি, যারা আমাদের আশ্বস্ত করেন যে, সবাইকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে, তারা এখন আমাদের থেকে দূরে দূরে থেকে নিজেদের হাইড করার চেষ্টা করছেন। সে জন্য আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি নিয়েছি। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
ছাত্রদলের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলের সময় তফসিলের কোথাও উল্লেখ নেই বিবাহিতরা ছাত্রদল করতে পারবে না। পরবর্তীতে মৌখিকভাবে বলা হয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে বিবাহিতরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। আমরা সেসময় জানতে চেয়েছি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এই নিয়ম থাকবে কিনা। কিন্তু তখন সকলেই বলেছিল সেটি কেবল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রে। কিন্তু এখন হঠাৎ করেই সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলছেন বিবাহিত কেউ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাদের একান্ত পছন্দের লোকদের কমিটিতে জায়গা দেয়ার জন্য ১/১১ থেকে শুরু করে বিগত ১২ বছরের রাজপথের ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছেন।
আরাফাত বিল্লাহ আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের বিশ্বাস উনি আমাদের বিষয়টি মানবিক হিসেবে বিবেচনা করবেন।
সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। তফসিলে উল্লেখ ছিল ১০ শতাংশ ভোট না পেলে কেউ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পাবে না। এখন সেই শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিবাহিত মেয়েদের বিবেচনা করা হচ্ছে কিন্তু বিবাহিত ছেলেদের বাদ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটা কি ধরণের দ্বিচারিতা?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোঃ সাফি বলেন, ১/১১ থেকে শুরু করে গত ১২ বছর ধরে আমরাই রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি, ভূমিকা রেখেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, একাধিকবার জেলে গেছি। কই তখন তো বলা হয়নি, তুমি বিবাহিত তোমার আন্দোলন-সংগ্রামে আসার প্রয়োজন নেই। আর এখন বলা হচ্ছে বিবাহিতদের পিছুটান রয়েছে। অথচ, এর আগে ছাত্রদলে যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তারা সকলেই বিবাহিত থেকেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা যদি ছাত্রদলের দায়িত্ব পালন করতে পারে, আমরা কোন বিবেচনায় অযোগ্য। ডাকসুর ভিপি নূরুল হক নূরুও বিবাহিত হয়েও ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। এমন না যে আমরা কাউন্সিলের নির্ধারিত বয়সসীমা (২০০০ সাল হতে পরবর্তী সময়ে এসএসসি পাস) অতিক্রম করেছি। আমাদের সাথে অনেকে আছে যারা ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেছে কিন্তু বিয়ে করেছে।
এসময় অনশন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ জালাল খান, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক মাহামুদুর আলম শাহীন, সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক শিহাবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য এম. কামরুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ ভদ্র, মো. ফরিদ হোসেন খান, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুজ্জামান সাইফুল, মো. শহিদুল ইসলাম মল্লিক, সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, এস. এম. হলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুর রহমান, সদস্য এম. এ. আজিজ, ঢাকা কলেজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম রাশেদ, সহ-সভাপতি নুরুল আলম আলামিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম, মো. জুয়েল, তিতুমীর কলেজের আরিফুর রহমান, মো. আল মামুন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আরমান হোসেন, কোতয়ালী ছাত্রদল নেতা রাজীব খন্দকার প্রমূখ।
এবিষয়ে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, যারা বিবাহিত হওয়ার কারণে বাদ পড়ছেন তারা সকলেই আমাদের বন্ধু, সহযোদ্ধা। তাদের জন্য আমাদেরও খারাপ লাগা কাজ করে। কিন্তু দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিবাহিতরা ছাত্রদল করতে পারবে না। আমরা সেই নির্দেশনা মেনেই কাজ করছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যারা বাদ পড়ছেন তারা সকলেই রাজপথের পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা। তাদেরকে অন্য কোন সংগঠনে দল বিবেচনা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।