পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবারের আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। পাশাপাশি ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে কেনা হবে সাড়ে তিন লাখ টন চাল। ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ধান ও সিদ্ধ চাল কেনার পাশাপাশি ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
এ বছর লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। আমন মৌসুমে যাদের কাছ থেকে কেনা হবে, বোরো মৌসুমে তাদের বাদ দিয়ে অন্য কৃষকদের কাছ থেকে তখন ধান, চাল সংগ্রহ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে কৃষকেরা সমান সুযোগ পাবে। ধান-চাল সংগ্রহ খুব জটিল বিষয়। এ নিয়ে প্রতিবছরই জটিলতার সৃষ্টি হয়। এবারো ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। তাই কোনো কৃষক যাতে ধান-চাল নিয়ে বিপাকে না পড়ে সেসব দিক বিবেচনা করে সতর্ক নজর রাখবে সরকার। এসব বিবেচনা করেই আসছে আমন মৌসুমে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে এ পরিমাণ ধান কখনো সংগ্রহ করা হয়নি। বোরো মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারন করার কথা ছিলো; সে পরিমাণ ধানই সংগ্রহ করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা এই ধান চাল সংগ্রহ করা নিয়ে আগে দুর্নীতি করেছে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া, গ্রাম পুলিশ বা চৌকিদারদের জন্য সারা বছর ১০ টাকা চাল কিনতে পারে সে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বছরের ৫ মাস যে নিয়ম চালু ছিলো তা ২ মাস বাড়িয়ে ৭ মাস করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ মেট্রিকটন চাল এখন পর্যন্ত সরকারি গুদামে মজুদ রয়েছে। চলতি মৌসুমে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে কৃষকেরা এবার ফসল নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়বেন না বলে আশা করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী জানান, এ সময় ভবিষ্যতে পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করে যেন অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানো যায় সেজন্য ভাবছে সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁয়াজ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।