পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২০ সালের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হবে উন্নয়নশীল আটটি মুসলিম দেশের অর্থনৈতিক জোট ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) এর দশম সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সফররত সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল ও অ্যাম্বাসেডর জাফর কু শারি এ কথা জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ডি-৮ এর আসন্ন ঢাকা সামিটে বাংলাদেশ সংস্থাটির পরবর্তী চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ২০২০ সাল এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ২০২১ উদযাপনের সময়টাতে বাংলাদেশ ডি-৮ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।
অ্যাম্বাসেডর জাফর বলেন, আগামী দিনগুলোতে ডি-৮ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে।
ঢাকা ঘোষণায় নতুন নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন কৌশল গ্রহণ করা হবে বলেও আশা করেন তিনি।
ডি-৮ভুক্ত দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশকে আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাব দেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ডি-৮ দেশগুলোর বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ইনোভেটিভ অংশদারিত্ব, নতুন নতুন পরিকল্পনাগ্রহণসহ ডি-৮কে শক্তিশালী করতে সেক্রেটারি জেনারেলের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে অ্যাম্বাসেডর জাফর বলেন, অন্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনুসরণীয় মডেল।
এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ডি-৮ সেক্রেটারি জেনারেল সদস্য দেশগুলোর মধ্যেকার কানেকটিভিটি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
১৯৯৭ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা ডি-৮ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই জোটের সদর দপ্তর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। ডি-৮ সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।