Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

উঠে গেল মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

মূল প্রজননকে নির্বিঘ্ন রাখতে উপক‚লের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায়ই সব ধরনের মাছ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত মধ্যরাত থেকে উঠে গেছে। আজ থেকে সারা দেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহন ও বিপণন শুরু হয়েছে।

তবে আগামীকাল রাতের প্রথম প্রহর থেকে জাটকা আহরণে ৭ মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ পোনা (জাটকা) আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকবে। অনুর্ধ্ব ৩০ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি সাইজের ইলিশ পোনাকে জাটকা হিসেবে অভিহিত করেছে মৎস্য অধিদফতর।

ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলো ধীরে ধীরে কোলাহল মুখর হয়ে উঠেছে। জেলে পল্লীগুলোতেও কর্মচঞ্চলতা লক্ষ করা গেছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে অনেকটা অবসরে কাটালেও গত দু-তিন দিন ধরে জাল ও নৌকা-ট্রলার মেরামতসহ মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গত সপ্তাহের দুর্যোগ কাটিয়ে আবহাওয়া অনুক‚লে ফিরে আসায় আজ সকাল থেকেই হাজার হাজার জেলে নৌকা ও ট্রলার দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও সাগর উপক‚লীয় এলাকায় জাল ফেলবে। মোকামের মহাজনরা মাছ কেনার জন্য জেলেদের আগাম অর্থ বা দাদনও দিয়েছে। আজ দুপুরের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর ইলিশ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে আসবে বলে আশা করছেন মৎস্যজীবীরা।

আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমাকে সামনে রেখে গত ৯ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩০ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎকালীন সময়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতর ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করলেও এবারই নিষেধাজ্ঞা অমান্যর প্রবণতা ছিল সবচেয়ে বেশি। এমনকি বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পর্যন্ত অবৈধভাবে ইলিশ আহরণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।

মৎস্য অধিদফতরের মতে, গত ১০ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখতে প্রায় ১৩ হাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়। এসময় প্রায় ৩ হাজার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাড়ে ৫ হাজার জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ৯৭ লাখ টাকা। প্রায় সোয়া ৭ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও বেহুন্দি জাল আটক করা হয় এ ২২ দিনে। যার বাজার মূল্য ১শ’ কোটি টাকার ওপরে। এছাড়াও অভিযানকালে শতাধিক টন ইলিশ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এসব অভিযানকালে বেশ কিছু জেলে নৌকাও আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবারের অভিযান পরিচালনাসহ জেল-জরিমানা এবং মাছ, জাল ও জেলে নৌকা আটকের সিংহভাগই হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায়। সারা দেশে উৎপাদিত ইলিশের ৬০%ই উৎপাদন ও আহরণ হয় দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ