পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিস্তা চুক্তি ঝুলিয়ে রেখে ফেনী নদীর পানি চুক্তি দেশ বিরোধী হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশে। অথচ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করে দিল্লিকে খুশি করতে ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরাকে দিতে চুক্তি করেছে সরকার। ভাসানী অনুসারি পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ২৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নুরুল আমিন বেপারী, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলানা চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কাজী মোহাম্মদ নজরুল প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন চুয়ান্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত। ভারত-বাংলাদেশের নদীর পানির প্রবাহের বিষয়টি অমীমাংশিত রেখে ভারতের সাথে ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়টি তিনি সমালোচনা করেন।
অধ্যাপক আসিক নজরুল মূল প্রবন্ধে ফেনী নদীর উৎপত্তি, প্রবাহের স্থান সীমা রেখা ইত্যাদি বিষয়ে বলেন, ফেনী নদী একান্তই বাংলাদেশের নদী। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফেনী নদীকে অভিন্ন নদী প্রমানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে ভারত অবৈধভাবে পাম্প বসিয়ে ফেনী নদীর পানি উত্তোলন করছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হুমকির মূখে পড়বে। কৃষি উৎপাদন, পরিবেশ এবং নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারের জীবন ও জীবিকা। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লং মার্চের মাধ্যমে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করেছেন। লং মার্চ পরবর্তী দীর্ঘ ৩৫ বৎসরেও ভারতে সাথে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য প্রাপ্তি বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারিনি। যেখানে ভারত বার বার নানা অজুহাতে তিস্তা নদীর পানির চুক্তির বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে কি করে বাংলাদেশ ভারতের সাথে ফেনী নদীর পানি প্রদানের চুক্তি করে তা বোধগম্য নয়। অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে দিল্লিকে খুশি করতে যা যা করা প্রয়োজন সরকার তাই করছে। এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, আমি ফেনী নদীপাড়ের ভূমিপুত্র। আমার বাড়ি থেকে দু’শ গজ দূরে ফেনী নদী। এ নদীর পানি ভারত আগে থেকেই অবৈধভাবে তুলে নিচ্ছে। এখন চুক্তি করে পানি নিলে মহুরি প্রকল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।