পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে চাকরিচ্যুত ও অবমাননার পর এবার দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রলোভনে অবৈধ সম্পর্কের পর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন নির্যাতিত ওই নারী নিজেই, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক নারী ভিডিওটি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্প্রতি জামালপুরের জেলা প্রশাসকের সাথে এক নারীর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ওই নারীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। জেলা প্রশাসক ওই নারীর সাথে ভিডিও কল রেকর্ড, মোবাইল কল রেকর্ডসহ যাবতীয় তথ্যাদি মুছে দিতে এবং বিষয়গুলো কাউকে না জানাতে বলেন। পরে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে রাজাকারের সন্তান বানিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। প্রাণে মেরে ফেলতে পারে, তাই এ ভিডিওটি প্রকাশ করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর পরপরই মহিলার করা অভিযোগ অস্বীকার করে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে কোতোয়ালি থানায় তার মোবাইল হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত একটি জিডিও করেছেন। পেশায় প্রাইমারি স্কুলশিক্ষিকা ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ওই নারীর সাথে এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবহেলাসহ নানা অভিযোগে জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, জেলা প্রশাসকের ব্যবহার ভালো না এবং চরিত্রও খারাপ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মুক্তিযোদ্ধারা লজ্জিত জানিয়ে জেলা প্রশাসকের অপসারণ ও তার শাস্তি কামনা করেছেন তারা। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ দিনাজপুর শাখার সভাপতি সহদেব চন্দ্র রায় বলেন, এই জেলা প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি নয়। মুক্তিযোদ্ধার কন্যার দিকে তার কুনজর ছিল, যা ফেসবুকে এসেছে এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে চাকরিচ্যুত ও বাস্তুচ্যুত করেছে। তাই আমরা এই জেলা প্রশাসকের দিনাজপুর থেকে অপসারণ চাই, যাতে অদূর ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের আচরণ ও ঘটনা না ঘটায়।
দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আর্টিস্ট বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি, যার সাথে জেলা প্রশাসকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এভাবে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননা করা হয় তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (রংপুর বিভাগীয় কমিশনার) ইতোমধ্যে এ বিষয়টি তদন্ত করে চলে গেছেন। তারাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইতোমধ্যেই এই জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়েছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার না হলে তারা কেউই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নেবেন না এমন দাবিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।