পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধান করতে না পারায় গতকাল মঙ্গলবার ‘গণরুমের’ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে থাকার জন্য গেটের সামনে হাতে বালিশ, তোশক নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে সমস্যার সাথে একমত পোষণ করে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বর্ষ থেকে সিট বরাদ্দের আশ^াস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। গণরুমের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকতকে। এসময় তারা ‘প্রথম বর্ষে বৈধ সিটের অধিকার চাই’, ‘হলের সংখ্যা বৃদ্ধি কর, অতপর ছাত্র ভর্তি কর’, থাকার জন্য জায়গা চাই, গণরুমে ঠাঁই নাই’, ‘আমরা এখন চুপসে গেছি, জ্ঞানশূন্য কালোমাছি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তবে প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যদের তৎপরতায় শিক্ষার্থীরা বাসভবনের ভেতরে যেতে পারেনি।
পরে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে ভিসি তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। শিক্ষার্থীদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠকে আবাসন সঙ্কট সমাধানে আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয় বলে জানান সৈকত। এরআগে বিষয়টি নিয়ে ঢাবি ভিসি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আবাসন সমস্যা ঢাবির দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত একটি সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়। সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। তবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করে এই সমস্যার সমাধান আসবে না।’
ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ভিসি স্যার আশ^াস দিয়েছেন এবছর যারা নতুন ভর্তি হবে তারা হল প্রশাসনের মাধ্যমেই হলে উঠবে এবং প্রশাসনিকভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমও চালাবে। প্রশাসনের এই আশ্বাসে আমাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছি। তবে আমরা তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করব। প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে নামা হবে।’
এরআগে গণরুম সমস্য সমাধানে গত ১০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। পাশাপাশি আবাসন সঙ্কট মেটাতে হলে ‘বাংক বেড’ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি করা হয় ওই সভায়। গত রোববার ভিসি কয়েকটি হলের গণরুম ঘুরে দেখে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।