পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয় মান নিয়ন্ত্রণ করে আসছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সারাদেশে জেলা-উপজেলায় আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৪৮২টির কার্যাদেশ দিয়েছে এর মধ্যে ৩১০টি মসজিদের কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মধ্যে রংপুর গণপূর্ত জোন বেশি কাজ বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে আওতায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ভবনের কাজ , ৬৬টি উপজেলা নির্বাহী অফিস ভবন নির্মাণ , ৩টি আদালত ভবন , চারটি হাসপাতাল শেষ এবং ১৫০টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়নে আট বিভাগের মধ্যে রংপুর বিভাগ প্রথম স্থান করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম।
জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদের বেশির ভাগই স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ বা ইসলামী স্থাপনা নেই বললেই চলে। মসজিদভিত্তিক সমাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ও ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করে বলেছেন,প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। কমপ্লেক্সে লাইব্রেরি, গবেষণাকক্ষ, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিশুশিক্ষা কার্যক্রম এবং পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক নামাজ কক্ষ, মেহমানদের আবাসন ব্যবস্থা, বিদেশি পর্যটকদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার নির্মাণকারী সংস্থার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এসব সমজিদ নির্মাণ প্রকল্পের কাজের বেশির ভাগই দায়িত্ব পালন করেছেন রংপুর গণপূত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলমকে। এসব কারণে এ কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খরচে হজ্জ পালন করিয়েছেন। রংপুর গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এর আগে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞন ইনন্সটিটিউট ও হাসপাতাল প্রকল্পের কাজ করেছেন। যা পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞন ইনন্সটিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে গণপূর্ত রংপুর জোনের আওতায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ৬৬টি উপজেলা নির্বাহী অফিস ভবন, ৩টি আদালত ভবন, চারটি হাসপাতাল এবং ১৫০টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
রংপুর গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তর দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মান নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে এ জোনে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান সরকারী নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে থাকে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
তিনি বলেন. সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারসহ একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম নিয়ে স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিরা এদের পাশাপাশি কাজ করে আসছেন। এরা বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা পেশাদারিত্ব ও কাজের মান সমৃদ্ধ করেছে। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়য়নে ও আমরা দৃঢভাবে কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।