পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আড়িয়াল খাঁ নদীর শাখা কুমার নদের মুখে চর পড়ে শুকিয়ে শীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এই সুযোগে কুমার নদের জেগে ওঠা চরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একের পর এক নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করছে স্থানীয়রা। মাদারীপুর শহর ঘেঁষা পুরান বাজারের রাস্তি এলাকায় চর দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণের সাথে জড়িত ১৬ জন প্রভাবশালী বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জোট গঠন করে গত শুকনো মৌসুমে বালি দ্বারা ভরাট অংশ উঁচু করে ভরাট করে তা দলিলবিহীন দখল দেখিয়ে বিক্রি করে স্থানীয়দের কাছে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। স্থানীয়রা নদের যায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসায় বাণিজ্য করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কুমার নদের জমি দখল করে বাদল মোল্লা নামের এক দখলদার পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। বাদল মোল্লা এই জমি কিনে স্থাপনা নির্মাণ করছে। তবে সে জমি কেনার কোন দলিল বা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
দুজন প্রভাবশালীর কাছ থেকে সে দখল নিয়েছে বলে স্থনীয় এক ব্যবসায়ী জানায়।
যেহেতু যারা বিক্রি করেছে তাদের কোন কাগজ বা দলিল নেই তাই তারা মৌখিকভাবে পজেশন জমি বিক্রি করেছে বলে জানায় বাদল মোল্লা। সরকারী জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কারো অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেয়নি নির্মাতা।
অনুসন্ধানের আরো জানা গেছে, বাদল মোল্লা ছাড়াও বাদশা বেপারী, রুপাই, সুফিয়া বেগম, বাচ্চু বেপারী, আনোয়ারসহ অনেকে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্য করছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব রাস্তি মৌজার ২৯৪ নম্বর খতিয়ানের এসএ ৯৯০ নম্বর দাগের ৩ একর জমির মধ্যে ২ একর ২০ শতাংশ জমি বিভিন্ন মালিকের নামে রেকর্ড রয়েছে এবং তারা ভোগ দখলে আছে। উক্ত ৩ একরের মধ্যে ৮০ শতাংশ ও অন্যান্য দাগের প্রায় ৪ একরসহ প্রায় ৫ একর জমি নদী সিকস্তী হিসাবে ১/১ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে বিআরএস এর মাঠ জরিপে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
সরকারের সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালী ১৬ জনের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে নদি সিকস্তী জমি ভরাট করে বিভিন্ন লোকের কাছে দলিলবিহীন দখল দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ১৬ জনের ওই গ্রুপটি।
এ ব্যাপারে এক দখলদার বাদল মোল্লা বলেন, আমাদের কেনা সম্পত্তি এখানে আছে। তারপরেও যদি সরকারী জমিতে ঘর করে থাকি, তাহলে সরকার চাইলে ভেঙে দিবো।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফউদ্দিন গিয়াস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে নদী সিকস্তী ও খাস জমি কেউ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে থাকলে তা উচ্ছেদ করা হবে। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি। আমি তাকে ডেকে তদন্ত করে বিষয়টি সুরাহা করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।