Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাদরাসা এমপিওভুক্ত হলো না ৫৫ বছরেও

ইটভাটায় কাজ করে চলে সংসার

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সংসার চালানোর তাগিদেই মাদরাসা ছুটির পরে ইটভাটায় কাজ করতে হয়। এ কাজ করে কোন হালে দিন চলে। এভাবেই জীবন যুদ্ধের কথা বলছিলেন আড়ানী দাখিল মাদরাসার অফিস পিয়ন মামুন আলী। এমন হাল শিক্ষকসহ সকলের।

পঞ্চান্ন বছর ধরে শিক্ষার আলো বিতরণ করে চলেছে আড়ানী দাখিল মাদরাসা। কিন্তু এবারও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি মাদরাসাটি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিনে বেতনে চাকরি করছেন শিক্ষকরা। আশায় ছিলেন এমপিওভুক্ত হলে বেতন-ভাতাদি পাবেন। কিন্তু পঞ্চান্ন বছর পরেও সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। সম্প্রতি সরকারের এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম নেই মাদরাসাটির। যার ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী। বিশেষ করে অবসরে যাবেন এমন শিক্ষকরাই হতাশ বেশি। বর্তমানে মাদরাসাটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮৭জন ।

ত্রিশ বছর যাবত বেতন ভাতাদি ছাড়াই চাকুরী করে আসছেন সহকারী মাওলানা শিক্ষক মকবুল হোসেন। এভাবেই ২৩ বছর চাকুরি করছেন হারুন-অর-রশিদ। তাদের মতো বেতন ছাড়াই চাকুরি করছেন মোশারফ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেনসহ পনের জন শিক্ষক কর্মচারী।
মাদরাসার সুপার আব্দুল হানিফ জানান, মাদরাসাটি ১৯৯১ সালে এবতেদায়ী মঞ্জুরি পায়। ১৯৯৮ সালে দাখিলে উন্নতি করা হয়। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী পাঠ দানের অনুমতি পায়। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারী একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে ২৮৭জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন ১৫ জন।

দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০১৯ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৭জন। ২০১৮ সালে ২০ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৯জন।২০১৭ সালে ২৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৯জন। মাদরাসাটি এমপিও ভুক্তির জন্য মাদরাসা বোর্ডের সকল শর্ত পূরণ করেছে। গত বুধবার প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় তার মাদরাসার নাম নেই বলে জানান সুপার আবু হানিফ।
সহকারী মাওলানা শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, চাকুরীর বয়স প্রায় শেষ। আর মাত্র ৬ মাস চাকুরী রয়েছে। এমপিও হবে, বেতন ভাতাদি পাব এই আশায় চাকুরী করে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, বেতন ছাড়াই অবসরে যেতে হবে। এর আগেও তিনজন শিক্ষক অবসরে গেছেন।
মাদরাসাটির কার্যকরি কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, মাদরাসার ফা- থেকে তারা কোন বেতন দিতে পারেন না। মাদরাসার জমিতে লাগানো কয়েকটি আমগাছের আম বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই প্রতিষ্ঠানটির আনুসাঙ্গিক খরচ চলে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ