পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘটনার সময় শিশু আলাউদ্দিনের বয়স ছিলো ৮ বছর। এখন তার বয়স ১২। ২০১৪ সালে তাকে ২২ বছর বয়স উল্লেখ করে দায়ের করা হয় মামলা। অভিযোগ আনা হয়েছে আলাউদ্দিন মানব পাচারে জড়িত। পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরকৃত এ মামলায় রামুর হাজীপাড়া আলাউদ্দিন হাইকোর্টে এসেছিলো জামিন নিতে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে তাকে ২ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। সেই সঙ্গে তাকে স্থায়ী জামিন কেন দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল নিশি জারি করেন। আলাউদ্দিনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জামান আক্তার বুলবুল। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। শুনানিকালে আদালত শিশু আলাউদ্দিনের উদ্দেশ্য বলেন ও নিজেই তো এখনো মানব হয়ে উঠতে পারেনি। মানব পাচার করবে কিভাবে?
আদালত থেকে জামান আক্তার বুলবুল বলেন, ঘটনা দেখানো হয়েছে ২০১৪ সালের। মামলা করা হয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু এখন তার বয়স ১২ বছরের মতো। মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছর রামুর হাজীপাড়ার বাসিন্দা নূরুল ইসলাম (৪১) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলায় রামুর চাকমারকুল এলাকার ওই শিশুসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনাটি ২০১৪ সালের ২০ জুন রাতের। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় মামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে কাজ দেবে বলে ওই বছরের ২১ জুন সাগরে নূরুল ইসলামকে ছোট নৌকায় করে জাহাজে তুলে দেয়া হয়। কয়েক দিন পর জাহাজ থেকে থাইল্যান্ডের উপকূলীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখানে দালালরা মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে ওই শিশুসহ এক ও দুই নম্বর আসামি ২ লাখ টাকা নেন। পরে আরও এক লাখ টাকা নেয়ার পর মালয়েশিয়া পৌঁছান নূরুল ইসলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়া অভিযানকালে তিনি আটক হন। এক বছর জেল খাটার পর দেশে ফিরে মামলা করেন নূরুল ইসলাম। মামলাটির এখন সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।