Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসছে বড় চালান স্থিতিশীল হবে দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশের বেশ কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিশর ও তুরস্ক থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দু’একদিনের মধ্যে এসব পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে পৌঁছালে দ্রুত দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। স¤প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েকবার সভা করেছে, নিয়মিত আমদানিকারকদের সাথে যোগাযোগ করছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধ পেঁয়াজ মজুত, কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা, স্বাভাবিক সরবরাহে ব্যঘাত সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশের বেশ কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিশর ও তুরস্ক থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দু’একদিনের মধ্যে এ সব পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে পৌছাঁলে দ্রুত মূল্য কমে আসবে। তাছাড়া, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি’র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিশর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া মায়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘেœ পৌঁছে যাচ্ছে।

ভোক্তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রয় চলছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সবধরনের পদক্ষেপ নপয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের ১০জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি টিম প্রতিদিন ঢাকার বাজারগুলোতে মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা যায়, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে, প্রতিদিন আমদানিকৃত পেঁয়াজ আসছে, দু’একদিনের মধ্যে বড় আমদানি চালান দেশে পৌঁছাবে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই, পেঁয়াজের দাম দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।#



 

Show all comments
  • Md Kawsar Sardar ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    জেমনে ভারত ভারত কড়তাছে মনেহয় ভারত পিয়াজ আরনাদিলে বাংলাদেশের মানুস পেয়াজের অভাবে মাড়াযাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Jjahanjir Mesu ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুক হয়ে গেছে যে যেখান দিয়ে পারতেছে সেখান দিয়ে লুটপাট করে খাচ্ছে আবার সরকার দলীয় লোকজন হলে তো কোন কথাই নাই তাদের জন্য সাত খুন মাপ আমরা শুধু কাগজ আর কলমে ই ডিজিটাল। বাস্তবে কিছু না
    Total Reply(0) Reply
  • Khaled Mosharaf ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    দাম কমবে শুনতে শুনতে আর ভালো লাগে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir Hossain ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    পেঁয়াজ ছাড়া আলু দিয়ে ডিম ভাজে খাবো.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Hasan ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    কৃষকরা ফসল ফলিয়ে সঠিক মূল্য পায় না।তাই কৃষকেরা কৃষি কাজ করতে চায় না।তার ফলে আমরা এখন একশো টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়।কৃষকেরা এক মুন ধান বেচলে পায় ৫০০টাকা এক মুন ধান সংগহ লেবার বাবদ ১০০০হাজার টাকা লাগে এই হলো আমাদের বাংলাদেশ, দিকার জানাই আামাদের সরকার কে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    না খেয়ে মরে যাও তবুও বারমার পেয়াজ খাইও না। মরদুদ ক্ষমতায়, বারমা হইতে পেয়াজ আমদানি করে। চাই না বারমার পিয়াজ। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Araf ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    পাবলিক তো আর পেয়াজের ব্যবসা করে না, তাই তারা আসল জিনিস জানে না, খবরে দেখে ব্যবসায়িরা মজুদ করসে তাই দাম বাড়ছে, যতসব বেকুবের দল, পেয়াজের দাম আরো বাড়বে যতদিন ভারত রপ্তানি শুরু না করবে। তাহলে আমাদের ব্যবসায়িরা কি করল তারা কেনো অন্য দেশ থেকে যথেস্ট পেয়াজ আনলো না???? তার কারণ আপনাদের মেজিস্ট্রেট আর সরকারের হয়রানি। আরে ভাই লাখ লাখ টাকা রিস্ক নিয়া পিয়াজ আইনা যদি মেজিস্ট্রেটের জরিমানা আর মন্ত্রনালয়ের মিটিং আর চাপে থাকতে হয় এই ব্যবসা কে করে। খবর নিয়া দেখেন বিগত কোনো মিটিং এই সরকার পেয়াজ আমদানিকরকদের একত্রিত করতে পারে নি, কেনো জানেন? কারণ পেয়াজের প্রকৃত ব্যবসায়িরা এই হয়রানির জন্য এবছর অনেকেই পেয়াজ আমদানিই করেন নাই, যার ফলাফল আজকের বাজার দর পাইকারি ১০৫ টাকা। এবার দেখি মেজিস্ট্রেট দিয়া দাম কেমন করে কমান
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    50 টাকা কেজি দরে হাফ কেজি নিছিলাম আরো প্রায় 2 মাস আগে হবে।এখনো 250 গ্রাম আছে। রান্না বান্না করি না।বাইরে খাই(ব্যাচেলর থাকি)। বাইরে খেয়ে এসে বাসায় বসে পিয়াজ দেখি ঠিক আছে কিনা। এইভাবেই চলছে
    Total Reply(0) Reply
  • Nazrul Islam ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    মন্ত্রীরা যখন খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ বলে তখন অসাধু ব্যবসায়ীরা আরো খুশি বেপরোয়া ভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।
    Total Reply(0) Reply
  • M Minhaj ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    দুঃখজনক হলেও সত্য, যে কৃষক রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে এই পেয়াজ উৎপাদন করেছিল সেই তার ন্যায় পাওনা থেকে বঞ্চিত হল। মাঝে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লাভ করে নিল
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rijon Khan ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    আমি একজন দোকান্দার আমি গতকাল শ্যাম বাজার আরত থেকে কিনে এনেছি ১২০টাকা দরে, তারপরে আরোদে দিতে হবে টেক্স, এবং লেবার প্রতিিি বস্তায় ৩০-৫০ পর্যন্ত, তার পরে আমার দোকানে নিতে ভাড়া এর পরে বাছাই করে পাতা পচা বাতিল পিয়াজ পরিশকার করা, আমাকে বিক্রি করতে হবে ১৩৫ টাকা প্রতি কেজি তাহলেই আমি ৫টটাকার মতো মুনাফা করতে পারবো, এর আগে আমি ১১০টাকায় বিক্রি করতাম
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir Chowdhury Titu ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    হোটেলে গিয়ে সিংগারা খাইতেছি,দোকানিকে বললাম ভাই একটু পিয়াজ দেন,দোকানদার বলল ভাই সিংগারা আর একটা িফ্র খান তবুও পিয়াজ চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • মাওলানা হাবিব ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৩৮ এএম says : 0
    আমাদেরকে দেশ প্রেমের পরিচয় দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ধন্যবাদ সকলকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ