Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মেননের ডিগবাজি

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

‘বক্তব্যের জন্য দুঃখিত মেনন, জবাবে খুশি ১৪ দল’ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের এই বক্তব্যে মনে হচ্ছে আপাতত ১৯৬৪ সালের ডাকসুর ভিপি, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তানের আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অবিসংবাদিত নেতা রাশেদ খান মেননের ফাঁড়া কেটে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোট দিতে না পারা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ঝড়ের মুখে পড়ে স্বভাবসুলভ ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেন সাবেক এই মন্ত্রী। বন্দুকের গুলির মতোই ‘মুখের কথা বের হলে আর ফিরিয়ে আনা যায় না’ প্রবাদের যন্ত্রণা হারে হারে টের পেলেন প্রবীণ এই নেতা।

২০ অক্টোবর বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে রাশেদ খান মেননের ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, গেল নির্বাচনে (২০১৮) জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তী সময়ে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ’। এই সহজ-সরল স্বীকারোক্তিতে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ঝড় উঠে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ১৪ দলীয় জোটে থাকা। ক্ষুব্ধ হয়ে ১৪ দলীয় জোট থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু মুখে বাম আদর্শের কথা বললেও যাপিত জীবনে সুবিধাবাদী লুম্পেন অর্থনীতিতে ডুবে থাকা মেনন ক্ষমতার পাশে থাকতে ডিগবাজি দিয়ে ১৪ দলে নিজের অবস্থান ধরে রাখলেন। তবে দায় চাপিয়েছেন মিডিয়ার উপর। তার অভিযোগ ‘বরিশালে দেয়া বক্তব্য পুরোপুরি প্রচার হয়নি’।

রাশেদ খান মেনন; একটি নাম একাধিক গুন। প্রাপ্তির জন্য তিনি কখনো নৌকায় উঠেন, কখনো নৌকার সমালোচনা করে ধানের শীষ হাতে তুলে নেন। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের কথা মুখে বলেন; কিন্তু নিজে বিলাসী জীবন যাপন করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকসুর ভিপি রাশেদ খান মেননের বর্তমান বয়স ৭৬ বছর। দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ এই ৫৫ বছর ‘তারকা’ নেতা রাশেদ খান মেনন নানাগুনের পরিচয় দিয়েছেন। দিনে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন; রাতে এরশাদের প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের বাসায় গিয়ে ‘প্যাকেট’ নিয়েছেন। জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেন অথচ মতিউর রহমান নিযামী, আবদুল কাদের মোল্লাদের সঙ্গে রেখেছিলেন গলায় গলায় পিরিতি। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে নিজের এবং স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খানসহ নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার প্রায় দেড়শ জনের নাম মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় উঠিয়েছেন মন্ত্রীর প্যাডে ডিও লেটার দিয়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের পরীক্ষিত নেত্রীদের বঞ্চিত করে নিজের স্ত্রী লুৎফুন্নেছা খানকে সংরক্ষিত আসনে এমপি বানিয়েছেন। অতপর সরকারের ক্যাসিনা নির্মূল অভিযান শুরুর পর গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রিমান্ডে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ‘ক্যাসিনোর অর্থ’ নিয়মিত নেয়া ব্যাক্তিদের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে মেননের নাম ৫ নম্বরে রয়েছে। তার নামের পাশে লেখা রয়েছে ১০ লাখ।
ষাটের দশকে বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে যখন বিভক্তি আসে তখন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা হিসেবে মেনন পিকিংপন্থী হন। তার (মেনন) রাজনীতির একটা বড় সময় কেটেছে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধিতা করে। স্বাধীনতার পর তিনি ন্যাপের (ভাসানী) রাজনীতির করেন এবং ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে’ রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ এবং ’৯০ এর পট পরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি হয়ে সংসদে যান। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করেন এবং মতিউর রহমান নিযামীর সঙ্গে মেননের কোলাকুলির দৃশ্যের ছবি পত্রিকায় প্রকাশের পর তিনি মিডিয়াকে দোষারোপ করে গায়ের কাঁদা ধূঁইয়ে ফেলেন।

‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, জনগণ আমাদের ভোট দেয় নাই’ বরিশালে মেননের দেয়া এই বক্তব্যের পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সরকার। বিবিসি সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ফলাও করে সে খবর প্রচার করে। তার বক্তব্য নিয়ে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ভেতরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। তাকে ১৪ দলীয় জোট থেকে বের করে দেয়ার দাবি তোলা হয়। কেউ কেউ তার কাছে বক্তব্যের বাখ্যা দাবি করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামসহ ১৪ দলের সমন্বয় সভায় ‘মেনন বক্তব্য’ আলোচনার পর ২৪ অক্টোবর ১৪ দল থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেয়া হয় মেননকে।

গত রোববার ওই চিঠির জবাব দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, আমি বরিশালে দেয়া বক্তব্যের পরদিনই সংবাদ মাধ্যমে ওই বক্তব্যে জাতীয় ও চৌদ্দদলে যে ভুল বার্তা গেছে সেটি বলেছি। পরবর্তীতে ২৩ ডিসেম্বর পার্টি ঢাকা জেলা সম্মেলনে সুস্পষ্টভাবেই বলেছি ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ দলে ছিলো এবং আছে। আমার বরিশালে দেয়া বক্তব্য নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেছি।

১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্দেশ্য করে মেনন বলেন, আপনার জানা আছে, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ব্যাপারে চৌদ্দদলের বিশ্লেষণ সম্পর্কে আমি মূলগতভাবে একমত। নির্বাচন পরবর্তীতে এবং এই সময়কালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাদের পার্টির অবস্থান ও বক্তব্য প্রেস বিবৃতি হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। বরিশালে ওই বক্তৃতায় নির্বাচনে জনগণের অনুৎসাহ, ভোটার অনুপস্থিত সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে কথা বলেছি তাতে অতিশয়েক্তি ঘটায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমার বক্তব্যের খন্ডিতাংশ উদ্ধৃত হওয়াতে ওই বক্তব্যের ভিন্ন অর্থ দাঁড়িয়েছে। আমি আশা করি, আমার এই বক্তব্য ও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ও চৌদ্দদল সম্পর্কে পূর্বাপর আমার ও ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থা বিবেচনায় বরিশালে আমার বক্তৃতায় যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার অপনোদন হবে।

মোহাম্মদ নাসিমের উদ্দেশ্যে চিঠিতে আরও বলা হয়, একটি বিষয়ের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। তা হলো চৌদ্দদলে যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই চিঠি পাঠিয়েছেন সে আলোচনায় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলো না। তারা উপস্থিত থাকলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যেতো। আমি আশা করি, আমার এই উত্তর আপনাকে সন্তুষ্ট করবে।

ক্ষমতার লোভে মন্ত্রীত্ব না পেলেও ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার লালসা থেকে মেনন ডিগবাজি দিয়ে নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরেছেন। এতে ১৪ দলীয় জোটে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও ওয়ার্কার্ক পার্টির ভাঙ্গন ঠেকাতে পারবেন কিনা বলা মুশকিল।

ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপের মেনন মূলত কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে গঠিত হয় ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অমল বোস এবং রাশেদ খান মেনন ছিলেন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য। এরপর সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে বেশ কয়েকবার ওয়ার্কার্স পার্টি ভাঙনের মুখে পড়ে। মেননের বিরুদ্ধে আদর্শচ্যুতির অভিযোগ তুলে প্রখ্যাত বাম নেতা টিপু বিশ্বাস নতুন দল গঠন করেন। এর এক যুগ পর হায়দার আকবর খান রনো সিপিবিতে যোগদান করেন। সাইফুল হক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করেন। গতকাল ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসকে ‘অবৈধ ও প্রহসনের কংগ্রেস’ অভিহিত করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দলটির ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেনন দলকে মার্কস-লেনিনবাদী আদর্শ থেকে বিচ্যুত করে সুবিধাবাদী পার্টিতে পরিণত করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পলিট ব্যুরোর সদস্য নূরুল হাসান, ইকবাল কবির জাহিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাকির হোসেন হবি, মোফাজ্জেল হোসেন মঞ্জু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কন্ট্রোল কমিশন চেয়ারম্যান অনিল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য তুষার কান্তি দাস। এর আগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস মেননকে সুবিধাবাদী নেতা হিসেবে অবিহিত করে দল ত্যাগ করেন। মেনন স্ত্রী লুৎফুন্নোছাকে সংরক্ষিত আসনে এমপি করার পর কয়েকজন মহিলা নেতা দল ত্যাগ করে চলে যান।

ক্ষমতাসীর দলের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ছাড়া রাশেদ খান মেনন অস্তিত্বহীন। ২০০৮ সালে ১৪ দলীয় জোট যখন মেনন যোগদেন তখন তা পার্টির ভেতরে বড় ধরনের ‘রাজনৈতিক ঝড়’ সৃষ্টি করে। অধিকাংশ নেতাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে ফ্রন্ট মেনে নিতে পারেননি। তারা চেয়েছেন একটি তৃতীয় ধারার রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে। কিন্তু নৌকায় চড়ে এমপি হন মেনন। এমপি হওয়ার পর মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় ‘বিপ্লবী’ হয়ে উঠেন এবং এক সময় মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হন মেনন তার একজন। ওই নির্বাচন নিয়ে সারাবিশ্বে বিতর্ক হলেও মন্ত্রী হওয়ায় মেনন নীরব ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় মন্ত্রী হতে না পারার ‘বেদনা’ থেকেই মেনন বরিশালে ওই বক্তব্য দিয়েছেন।

যে ইয়ংমেন ক্লাবে প্রথম ক্যাসিনোবয়দের ধরতে আইন শৃংখলা বাহিনী অভিযান চালায় সেই ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন মেনন। ওই ক্লাবের অধিকর্তা গ্রেফতার হওয়া খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে তথ্য দিয়েছেন যে মেনন ‘টেন্ডার প্রতি ৫ পার্সেন্ট কমিশন নিতেন’। মেনন দাবি করেছেন স্থানীয় এমপি হিসেবে আমি মাত্র একদিন ওই ক্লাবে গিয়েছি। কিন্তু ‘ক্যাসিনো কিং’ সম্রাটের কাছ থেকে মেনন প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা ‘সম্মানী’ নিতেন- এটি পুলিশের কাছে স্বয়ং সম্রাটের স্বীকারোক্তি। এটা আদৌ সত্য কিনা বলার সময় অবশ্য আসেনি।

প্রশ্ন হচ্ছে মেনন এ ধরনের বক্তব্য এ মুহূর্তে কেন দিলেন? কেনই বা ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেলেন? মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার বেতনা থেকে? নিজেকে ‘লাইমলাইটে’ আনতে? নাকি ক্যাসিনোর টাকা নেয়া ও শুদ্ধি অভিযান থেকে বাঁচতে? বরিশালের সভায় মেনন ‘জনগণ ভোট দিতে পারেনি’ শব্দের পাশাপাশি ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে’ অভিযোগ করেছেন। রাশেদ খান মেনন ‘ফালতু’ কথা বলার মানুষ নন। এনবিআরের উচিত অভিযোগটি খতিয়ে দেখা। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বিগত নির্বাচনের আগে মেনন যে তথ্য নির্বাচন কমিশনে দিয়েছেন তাতে দেখা যায় তার অবস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বেশি। স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। নবম ও দশম নির্বাচনী হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২২ গুণ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ টাকা।

মেনন ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে ১৪ দলের মন রক্ষা করে আপাতত ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু দল রক্ষা করতে পারছেন না। দলের সিনিয়র নেতারা মেননের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদের অভিযোগ তুলে পাল্টা কংগ্রেস করার ঘোষণা দিয়েছেন। ##



 

Show all comments
  • দীনমজুর কহে ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:০৮ পিএম says : 0
    রুশ ভারত মার্কিন, ফুরিয়ে গেছে তোদের দিন।ইংগঙ মার্কিন সম্রায্যবাদ নিপাত যাক ধংষ হোক।পদলেহি সুবিদাবাদি রুখে দাড়াও সাহসী বাংলাদেশ।এক শ্রেনির মানুষের দরুন দরুন জমি, আরেক শ্রেনীর মানুষের কবর দেয়ার যায়গা নাই কেন?? এদের নিতি কথা কোথায় হারিয়ে গেলো।।
    Total Reply(0) Reply
  • মজলুম জনতা ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৩৪ পিএম says : 0
    শোষক,বুর্জুয়, পেটি বুর্জুয়া,ধনকুপের রাজনিতি,ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল ইস্পাতকঠিন।সেই মেনন,ইনু সাহেবরা আজ কোথায়?সব নিতি নৈতিকতা বির্ষজন দিয়ে ঐ শ্রেনী পেশার সাথে একাকার। তাইতো ক্যাসিনোর সাথে জড়িত ,এমন প্রশ্ন ও উঠেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Zee vee ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
    চোর ও নাস্তিকরা সর্বদাই সুবিধাবাদী
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম শাকীর ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
    এ রকম রাজনীতি বিদদেরকে রাজনীতি থেকে সরে রাখা দরকার। যিনি মুখ ফসকে আবোল তাবোল কথা বলতে পারেন তিনি দেশের মানুষের সাথেও বেঈমানি করতে পারেন। তাকে দ্রুত সংসদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হউক।
    Total Reply(0) Reply
  • Parvez Ahmed ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
    সত্য চাপাথাকে না,এভাবেই মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে সত্য কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Taher Chowdhury ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 1
    মেনন খান বিলম্ব না করে সংসদ সদস্যপদ পদত্যাগ করা উচিত। তার পর সত্য মিথ্যা যা বলার বলুক গিয়ে। হালুয়া রুটির ভাগ নেই বলে এভাবে ফস্কে যায় বু্যি। ক্যাসিনো নয়তো।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Salam ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
    পুরাতন ডিগবাজ খেলোয়াড়
    Total Reply(0) Reply
  • Tanvir Hossain ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
    এরা এমনই।এরা নিজেরাও নিজেদের সাথে ডিগবাজি খায়। এরা ভাগারের বস্তু।
    Total Reply(0) Reply
  • Mayin Uddin ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
    জাতির এক অভিশপ্ত ব্যক্তি
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Islam Rashek ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
    নোবেল কি এ বারেরটা ঘোষণা হয়ে গেছে ? হয়ে গেলে স্থগিত করেন আর না হলে ওনার জন্য একটা রেখে দেন কারণ সব যোগ্যতা অন্যের আছে। উনি যদি নোবেল না পান তার দায়ভার বিরোধী দলকে বহন করতে হবে কিন্তু।
    Total Reply(0) Reply
  • Lipon Ahamed ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    জাতির সামনে বললেন আবার ডিকবাজি মারলেন খুব ভালো এর চেয়ে .... ভালো।
    Total Reply(0) Reply
  • Ansar Ali ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    এভাবেই ফ্রুটিকা পান করে মুখ ফসকে সত্য কথা বেরিয়ে আসবে [ওল্লাহু খায়রুল মাকেরিন]
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Maruf Haque ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    কোন মিথ্যাবাদী যদি কোন দলের নেতা হয় তাহলে সেই দলের কর্মী কেমন হবে বুঝতেই পারছেন আশা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০২ এএম says : 0
    Why sorry to speak the truth? You are the hero. "সত্য স্বয়ং প্রকাশ্ তাকে কোন রক্ত আঁখি রোধ করতে পারে না।" কবির জবানবন্দী - কাজী নজরুল ইসলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:৩৯ এএম says : 0
    Asholei shotto kotha holo je menoner moto rajnitibidder shongkha 90%
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ