পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে গতকাল সোমবার সপ্তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত করেছে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার এন্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং। সেনানিবাসে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক লে: কর্নেল ফারুক এবং জ্যেষ্ঠ সুবেদার মেজর অনারারি ক্যাপ্টেন রশিদ সেনাবাহিনী প্রধান’কে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ এর র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। অতঃপর তিনি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার গ্রহণ করেন।
দরবার শেষে কর্নেল কমান্ড্যান্ট কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেনাবাহিনীর প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একজন সিনিয়র অফিসার এর প্রতি গভীর ও আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করে পিতৃসুলভ অভিভাবকের আসনে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ উপাধি দিয়ে অভিষিক্ত করা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে।
কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স সেনাবাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশগঠনমূলক কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ, বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প, এয়ারপোর্ট রোডের আন্ডারপাস মিরপুর ফ্লাইওভার, রুমা ও থানচি ব্রীজ নির্মাণ, উখিয়া ও রামুতে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ ও সংস্কার, পদ্মা বহুমুখী সেতুর সংযোগ সড়ক ও রেলওয়ে লিংক প্রজেক্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
সেনাপ্রধান আরো বলেন, সেনাবাহিনী প্রথাগত কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নতিসহ সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যখনই সুযোগ আসবে তখনই তাতে অংশগ্রহণ করে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সশস্ত্র বাহিনীর এক হাজার ৫৩৩ জন বীর সেনানী যুদ্ধে শহীদ হন। এরমধ্যে এই কোরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ ৮৮ জন অন্যতম।
সেনাপ্রধান সেনানিবাসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত সকল অধিনায়কগণের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।