পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিসভা সচিব হিসেবে বিদায় নিলেন মোহাম্মদ শফিউল আলম। ১ নভেম্বর বিশ্বব্যাংকে নতুন দায়িত্ব পালনে শিগগিরই রওনা হবেন আমেরিকার উদ্দেশ্যে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে বিদায় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এ এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রিসভায় বৈঠকে তিনি কেঁদেছেন এবং সকলকে কাঁদিয়েছেন। এদিকে গতকাল গতকাল সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন।
বরাবরের মতো নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে ব্রিফিং রুমে আসেন বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আলোচনার শুরুতেই জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের চার বছর প‚র্ণ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে শফিউল আলম গেল চার বছরে নিজের কর্মক্ষেত্রের নানা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথা খোলামেলা আলোচনা করেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এতদিনে সবার সহযোগিতা পেয়েছি। এরপরেও কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকলে ক্ষমা চান সবার কাছে। দোয়া চেয়েছেন নিজের জন্য ও তার পরিবারের জন্য। তিনি বলেন, একটা সময় ছিলো যখন মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত দিনের পর দিন ঝুলে থাকতো। উন্নয়ন যেমন পিছিয়ে পড়তো, তেমনি মানুষের ভোগান্তি হতো অবর্ণনীয়। সে পদ্ধতি থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে গতি ফেরাতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন। কখনো কখনো রাত অবধি কাজ করতে হয়েছে। যা এখন নিয়মেই পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ১ নভেম্বরে যোগ দিচ্ছেন তিনি। পরবর্তী তিন বছরের জন্য তিনি এ নিয়োগ পাচ্ছেন।
১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্ম নিয়েছিলেন মোহাম্মদ শফিউল আলম, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম. এ. এবং ১৯৯০ সালে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের একজন সদস্য এবং গত ৩৫ বছর ধরে মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপ‚র্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাগুরা জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দফতর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়ার স্থলাভিষিক্ত হন। আর নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিবেবে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে তিনি ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ৩১ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখে সচিব পদে ও ১৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক। এই পদে যোগদানের পূর্বে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচের কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।