Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইনানী সৈকত যেন ইয়াবার খনি

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৭৫, কারাগারে ১০২ কারবারি

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পরেও অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা পাচার। কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মরণ নেশা ইয়াবা পাচার। রোববারেও উখিয়ার ইনানী সৈকত থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের আট লাখ ইয়াবার একটি বড় চালান। এটি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ চালানের সাথে একজন রোহিঙ্গা যুবককেও আটক করা হয়েছে এবং জব্ধ করা হয়েছে একটি ট্রলার। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারের সাথে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক একাধিক মাদক সিন্ডিকেট ও কিছু অসাধু রোহিঙ্গা।
এই বড় চালানের সাথে বিশাল একটি ‘বড় চক্র’ জড়িত বলে র‌্যাব জানতে পেরেছে। আটক সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব। আটক ওই রোহিঙ্গা যুবক ও ইয়াবার বড় চালান নিয়ে সোমবার র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলমা। তিনি জানান, সাগর পথে ইয়াবার একটি বড় চালান আসছে এমন খবর পেয়ে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইনানী রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকত এলাকায় অভিযানে যায় র‌্যাব সদস্যরা। টের পেয়ে ওই চালানের সাথে জড়িত অন্তত পাঁচ পাচারকারি পালিয়ে গেলেও জড়িত এক রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। তার তথ্যের ভিত্তিতে সৈকত সংলগ্ন ঝোঁপঝাড় থেকে ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সাথে জব্দ করা হয় চালান বহনকারি ট্রলার।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব ১৫ কক্সবাজারের সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান। আটক রোহিঙ্গা যুবক জামাল টেকনাফের উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-২২ এর ব্লক ডি-২ এর মাঝি মো. হোসেনের পুত্র বলে জানা গেছে । র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ পর্যন্ত ধরা পড়া বড় চালানগুলোর মধ্যে এ চালানটি অন্যতম। এ চালানে ৮ লাখ ইয়াবা পাচার হয়ে আসে সীমান্ত দিয়ে। তিনি আরো জানান, ইয়াবার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা। চালানের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। আটক রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে এ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাগরে বোট চলাচলের নিষিদ্ধ সময়ে কিভাবে ইয়াবা নিয়ে বোট ঢুকে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জবাবদিহিতার আওতায় পড়ে না। সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।’
মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পরেও কেন ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। র‌্যাব ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে কঠোর অভিযান জোরদার রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা এক বছরে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না। ইতিমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ইয়াবা পাচার অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শুধু উখিয়া ও টেকনাফ নয়, পুরো কক্সবাজারে ইয়াবার বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতায় ইয়াবা ডন খ্যাত হাজী সাইফুলসহ অর্ধশত রোহিঙ্গা মিলে ১৭৫ জন কারবারি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও কোন মতেই বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা পাচার। আরো ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে এখন কারাগারে। সচেতন মহলের প্রশ্ন এখনো ইয়াবা পাচার করে কারা? সাথে দাবি উঠেছে চুনোপুটি না ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত রাঘব বোয়ালদের ধরা হউক। তা হলেই ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।



 

Show all comments
  • ash ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৩১ এএম says : 0
    MADOK PACHAR BONDHE ANTORIK HOLE R HARD LINE GALE , MADOK PARCHAR BONDHO NA HOBAR KONO KARON NAI ! JODI BAGHA BOAL DER SAR DIE SHUDHU SISKA MADOK KARBARIDER PISE DOWRAY TAHOLE TO BONDHO HOBE NA! BORDAR ARIEATE, NAFF NODITE, EVEN SHOMUDRE CHOTO CHOTO DRON 24-7 WRANO HOY , MADOK PARCHAR BONDHO HOTE BADDO
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ