পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার আশুলিয়ায় এবার দোকান-পাট ভাঙচুর করে প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট, মারধর ও একটি শপিং কমপ্লেক্স দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতাকর্মিসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা বাইপাইলের এম এ খান শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আলমগীর খান ওরফে এম এ খান। মামলায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুইয়াকে প্রধান ও তার সহযোগী রিয়াদ মোল্লা, হালিম শেখ, আজগর আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগেও গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর মালিকানাধীন বাইপাইলে মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সকালে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে বিকালে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।
মামলায় বলা হয়েছে, বাইপাইল এলাকায় ৩৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে এম এ খান শপিং কমপ্লেক্স বানিয়ে বিভিন্ন কাঁচা-পাকা মালের আড়ৎদারদের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন জমির মালিক। কিন্তু যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুইয়া তার লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের আড়ৎদারদের মারধর করে তাদের মালামাল লুটপাটও করে নেয়। এভাবে ২০জন ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদি হয়ে রোববার দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দিপু বলেন, লুটপাট, ভাঙচুর ও মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আশুলিয়ার যুবলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে আশুলিয়া থানা যুবলীগের কমিটি নিয়ে আসে বর্তমান আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার। তারই একমাত্র বিশ্বস্ত সহচর মঈনুল ইসলাম ভুইয়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ায় বেপোয়ারা হয়ে ওঠে। আশুলিয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করা হয়। এ ছাড়াও আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকায় এ এম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একটি পুকুর দখল করে মাছ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে মঈনুলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানা যুবলীগ আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের মুঠফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।