পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এস এম মাহমুদ সেতুকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত রোববার সেতুকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। আবরার হত্যায় সেতুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আবরার হত্যা মামলায় সেতুর নাম নেই। তবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়া অন্য আসামিদের বক্তব্যে সেতুর নাম এসেছে। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রোববার বিকেলে মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহমুদ সেতু জানিয়েছেন, তিনি বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের বিএসসি সম্পন্ন করেছেন। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১২ রুমে থেকে মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যাতায়াত করতেন তিনি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে আবরার হত্যাকান্ডের মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। তার মধ্যে ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।