পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ৫০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা ‘ব্যাক ফর গুড’ (বিফোরজি) কর্মসূচির আওতায় এসব অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরতে হচ্ছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স আয় করছে। যারা সাগরপথে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশটিতে প্রবেশ করেছিল, ২০১৬ সনের রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে বৈধতা লাভের সুযোগ না পাওয়ায় এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যারা অবৈধ হয়েছে এমন কর্মীরাই এ সুযোগ পাবে। উল্লেখিত কর্মসূচির আওতায় গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৫৪৮ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৩৯ পুরুষ এবং ১ হাজার ৪০৯ নারী।
দশ সিন্ডিকেটের অনৈতিক কর্মকান্ডের দরুণ ২০১৮ সনের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার পর দেশটির শ্রমবাজার চালুর লক্ষ্যে আগামী ৬ নভেম্বর পুত্রাজায়ায় উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবার কথা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে। অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের দেশটিতে বৈধতা দেয়ার বিষয়টিও আসন্ন দিপাক্ষিক বৈঠকে উঠতে পারে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজাইমি আবু দাউদ জানিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিফোরজি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। যারা ঐ তারিখের মধ্যে দেশে ফিরবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার তাগিদে এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে থাকা বিদেশি কর্মীদের বৈধ করতে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রি-হায়ারিং প্রকল্প হাতে নেয় দেশটি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করে অবৈধ কর্মীদের বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। দফায় দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়। তবে অনেক অবৈধ বাংলাদেশি দালাল চক্রের হাতে প্রতারিত হয়ে এ প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেননি। যাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দিতেই রি-হায়ারিং প্রকল্প গ্রহণ করেছিল দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ায় রি-হায়ারিং প্রকল্প প্রায় আড়াই বছর ধরে চলে।
দূতাবাস থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিনশ ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন জমা পড়ছে। ট্রাভেল পাস ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর তথ্যাদি যাচাই বাছাই পূর্বক ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হচ্ছে। বিফোরজি কর্মসূচির আওতায় মালয়েশিয়া জুড়ে ২০০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৮০টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। এ সব কাউন্টার থেকে অবৈধদের ফেরত যাওয়ার জন্য সহায়তা করছে মালয়েশিয়া সরকার। এই সুযোগ যারা নেবে না, নতুন বছরের শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নিজ দেশে ফেরার আগে অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে কোনো কোম্পানির দেনা পাওনা থাকলে, তা মীমাংসার দায়িত্ব নেবে না মালয়েশিয়া সরকার। কর্মীদের তাদের নিজ উদ্যোগেই কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে দেনা পাওনা মেটাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।