পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরোও যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে গড়ে তোলা হয়েছে জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও’স) ট্রেনিং ইনস্টিউট। গতকাল (রোববার) চট্টগ্রামের নৌঘাঁটি ঈসা খানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জেসিও’স ট্রেনিং ইনস্টিউট উদ্বোধন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। নৌবাহিনীতে কর্মরত জেসিওগণের নিজ নিজ শাখায় পেশাগত দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি আর বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক এলাকার ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চৌকস, দক্ষ প্রশিক্ষিত জনবলের কোনো বিকল্প নেই। নৌবাহিনীর সামগ্রিক উন্নয়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলের আধুনিকায়নসহ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিশেষত এই প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণার্থীদের তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেসিওগণ কর্মক্ষেত্রে আরও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে সশস্ত্র বাহিনীর ‘জেসিও’ পদকে ইতোমধ্যেই প্রথম শ্রেণীর (নন ক্যাডার) মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জেসিওগণ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক ও অপারেশানাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
বর্তমানে আন্তঃবাহিনী এবং কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও জেসিওগণ অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে নৌবাহিনীর ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করছেন।
প্রসঙ্গত জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনায় ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী দক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর আধূনিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর পাশাপাশি রোডম্যাপ-২০৪১, ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০, বøু-ইকনোমি বাস্তবায়নে বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্ব ও কর্তব্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্বায়িত্ব কার্যকরভাবে পালনের লক্ষ্যে জেসিও’স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। সূত্র আইএসপিআর-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।