পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঢালাই করার সময় ছাদ ধসে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৭ জন। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খনির কম্পাউন্ডের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি জেনারেটর হাউজ নির্মাণকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকরা হলেন প্রশান্ত রায় (১৭) ও আকাশ (৩৬)। প্রশান্ত রায় পার্বতীপুর উপজেলার চৌহাটি গ্রামের ভেগু রায়ের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। আকাশের বাড়ি ফুলবাড়ি উপজেলার মালিপাড়া গুচ্ছ গ্রামে। তাৎক্ষণিকভাবে তার বাবার নাম জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, বিরামপুর উপজেলার চরকাই গ্রামের চন্ডি রায়, আসাদুল ও আলমগীর হোসেন। আহতদের বিরামপুর ও ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি- সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে জেনারেটর হাউজ নির্মাণের কাজ চলছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি জেনারেটর হাউজটির নির্মানের জন্য সাব-কন্ট্রাক্ট দেয় ফুলবাড়ী উপজেলার মেসার্স আমীন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী রুহুল আমীন সরকারকে। রোববার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার ৭০জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ভবনের এক তৃতীয়াংশ ঢালাই হওয়ার পর পরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকষ্মিকভাবে এর পুরো অংশ ধসে পড়ে। এ সময় প্রশান্ত রায় ও আকাশসহ ছাদের উপরে ও নিচে কর্মরত ৯ শ্রমিক চাপা পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যে ৭টা) নিহত প্রশান্ত রায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন।
জানা যায়, ঢালাই কাজে প্রথম দিনে ১০০ বস্তা সিমেন্টের কাজ চলছিলো। শ্রমিকরা জানান ঢালাই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিলো।
এদিকে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার পর থেকে কোন সংবাদকর্মীকে খনির ভিতরে প্রবেশ করতে দেননি এবং খনির দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা মোবাইলফোন রিসিভ করেননি। এতে করে সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।