পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত দশ বছরের তুলনায় দেশে কৃষিখানার হার কমেছে। ২০০৮ সালে কৃষিখানার হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৯ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ হার প্রায় ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গতকাল আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে কৃষিশুমারি-২০১৯ এর প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, বিবিএস সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট খানার সংখ্যা তিন কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৮০টি। আর কৃষিখানার সংখ্যা এই মুহুর্তে এক কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৪টি। শুমারিতে মৎস্য খানা, কৃষিমজুর খানা, নিজস্ব জমি নেই এমন খানা, অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানা ও মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মৎস্য খানার সংখ্যা ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৫টি। কৃষিমজুর খানার সংখ্যা ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৭টি। নিজস্ব জমি নেই এমন খানার সংখ্যা ৪০ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯টি। অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানার সংখ্যা ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮৭টি। মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যা ১৬ লাখ পাঁচ হাজার ১৮৫টি। কৃষিশুমারি-২০১৯ এ দেশে বর্তমান মুরগি, হাঁস, টার্কি, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গৃহপালিত এসব পশুপাখির মধ্যে মুরগির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর যথাক্রমে রয়েছে হাঁস, গরু, ছাগল, টার্কি, ভেড়া ও মহিষ। মুরগির সংখ্যা ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৯০১টি। হাঁসের সংখ্যা ছয় কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২১০টি। টার্কির সংখ্যা ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪২০টি। গরুর সংখ্যা দুই কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫টি। মহিষের সংখ্যা সাত লাখ ১৮ হাজার ৪১১টি। ছাগলের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৩টি। ভেড়ার সংখ্যা আট লাখ ৯২ হাজার ৬২৮টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব জানান, দেশের কর্মপরিকল্পনার জন্য নির্ভুল ডাটা প্রয়োজন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নানা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ডিমের উৎপাদন কত, প্রতিদিন কত মিলিমিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে, মাছের উৎপাদন কত এবং এর মধ্যে ইলিশ, চিংড়ি ও মিঠা পানি থেকে মাছের উৎপাদন কত- এসব তথ্য কৃষিশুমারিতে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এবারের শুমারিতে এগুলো নেই। আগামী শুমারিতে এগুলো যুক্ত করার অনুরোধ রইল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এই কৃষিশুমারিতে অনেক সবজি/ফল বাদ পড়েছে। সেগুলো যুক্ত থাকা দরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আগামীতে যেসব কাজ হবে সেখানে আপনারা আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবেন। যাতে করে এই ধরনের ছোটখাটো ভুল এড়ানো যায়। ছোটখাটো ভুল হলেও এগুলোর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বিদেশি নয়, দেশি কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্যেই দেশের মঙ্গল নিহিত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মনোযোগ দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।