পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার আদমদীঘির রামপুরা গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে মাটি খুঁড়ে পাওয়া ছয়টি স্থলমাইন ও তিনটি গ্রেনেড ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে আদমদীঘির ছাতিয়ান গ্রামের দস্তকিরের ইটভাটার ফাঁকা স্থানে বগুড়া সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল এই বিস্ফোরকগুলো ধ্বংস করে। বিকট শব্দে সেগুলো বিস্ফোরিত হলে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।
জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে উপজেলার রামপুরা গ্রামের এটি পুকুর পাড়ে ৬-৭ জন শিশু খেলা করছিল। এ সময় ইউসুফ নামের এক শিশু ধান কাটার কাঁচি দিয়ে পুকুর পাড়ে মাটি খোঁড়ার সময় স্থলমাইন ও গ্রেনেডগুলো দেখতে পেয়ে সেগুলো নিয়ে খেলা করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন বোমাগুলো দেখতে পেয়ে একটি বালতির পানিতে ডুবিয়ে রাখার পরে থানায় খবর দিলে রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ বোমাগুলো উদ্ধার করে।
রামপুরা গ্রামের ইনছের আলী বলেন, বাচ্চাদের কাছে আমি প্রথমে এগুলো দেখতে পাই। আমার দেখেই সেগুলো আসল বলে সন্দেহ হলে অন্যান্য গ্রামবাসীকে বলি। পরে সকলে এসে সেগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর থানায় খবর দেই।
আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে সেনাবহিনীর টিম এসে সেগুলো ধ্বংস করার পর এলাকায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান বগুড়া ১১ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন আরিফ মোহাম্মাদ কনক বলেন, বিস্ফোরকগুলো অনেক পুরোনো। কিন্তু এতোদিন মাটির নিচে থাকার পরও কার্যক্ষমতা হারায়নি। গ্রেনেড ও স্থলমাইনগুলো পাকিস্তানি আমলের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। গ্রেনেড ও স্থলমাইনগুলো উদ্ধারের পর আমাদের টিম এগুলো ধ্বংস করেছে। ফলে আর কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।