পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি-এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, দেশ এক ধরনের দোজকে পরিণত হয়েছে। এখন প্রয়োজন সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। যথা সময়ে দলে দলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘর থেকে বেরুতে হবে, যথা সময়ে দলে দলে ঘর থেকে বেরিয়ে সকলকে আইনমান্য করে প্রতিবাদ করতে হবে। ঘরে বসে থাকলে আর কখনো দেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
গতকাল এলডিপির ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কর্ণেল অলি বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই দেশকে রক্ষা করি। এতে করে সরকারের বিদায় ঘন্টার ধবনি শোনা যাবে। আমি বলতে চাই, যথা সময়ে আইন মান্য করে দলে দলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য প্রস্তুতি নিন। ইনশাল্লাহ আমরাই সফল হবো।
তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ দেশে পুণঃনির্বাচন হবে। সৎ, নিষ্ঠবান এবং দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। তাদের মাধ্যমে জনগনের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিহিংসা, প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান হবে। সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। সত্যিকার অর্থে জনগনের সরকার দেশ পরিচালনার করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।
শুদ্ধি অভিযানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদক, ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী এবং অবৈধ অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তা শুধু বড় বড় দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য, জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো জন্য। যেসব মন্ত্রী-এমপি ও তাদের পরিবার বস্তায় বস্তায় টাকা নিয়েছে, মার্সিটিজ গাড়ি নিয়েছে তাদের নাম সুস্পষ্টভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অদ্যবধি তারা ধরা ছোয়ার বাইরে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ‘বেকার ও বৃদ্ধ পুর্ণবাসন কেন্দ্র’ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন ‘সরকারি দলের পুর্ণবাসন কেন্দ্র’ হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে অলি আহমদ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এই দুইটি সংস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবিও জানান।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করতে পারে না। নেত্রীর মুক্তির জন্য যারা আজকে রাজপথে নামবে সে সব নেতারা সরকারের সাথে আঁতাত করে কোনো আন্দোলনে যাচ্ছে না। আপনারা অভিশপ্ত নেতৃত্ব, আপনাদেরকে মানুষ কোনোদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে না- এটুকু আমি এলডিপির মহাসচিব হিসেবে বলতে পারি। মওদুদ ভাই বলেন, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে বের করব, খন্দকার মোশাররফ বলেন, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে বের করব- নেত্রীর যে অবস্থা তাতে আর কয়েকদিন পরে মারা যাবেন। আমরা মনে করি এর দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ওইরকম শক্তি থাকলে রাজপথ কাঁপিয়ে দিতাম এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতাম। কিন্তু এসব কিছু মূল্যায়ন করে আমাদের নেতা অলি আহমদ বীর বিক্রম বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০ দলীয় জোট ও অনেককে নিয়ে আমরা জাতীয় মঞ্চ গঠন করেছি। ইনশাল্লাহ আমরা আশা করি এই বছরের মধ্যেই জাতীয় মুক্তি মঞ্চের নেতৃত্বে এই দেশ মুক্ত হবে, এই জাতি মুক্ত হবে, এই দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, এদেশের মানুষরা আবার কথা বলার সুযোগ পাবে, সাংবাদিকরা আবার স্বাধীনভাবে লিখতে পারবে, আমরা সকলেই মাঠে-ময়দানে সকল জায়গায় কথা বলার সুযোগ পাবো এবং মিছিল-মিটিং করার সুযোগ পাবো।
দলের যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটোর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির কামাল উদ্দিন মোস্তফা, নুরুল আলম, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, নিয়ামুল রশীদ, কারিমা খাতুন, ইব্রাহিম মিয়া, আবুল হাশেম ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।