পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে এ রেললাইন পদ্মা সেতুতে যাবে। এজন্য একটি প্রকল্পও নিয়েছে সরকার। কিন্তু রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা থাকার কারণে নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এমনকি কয়েকবার প্রকল্পের নির্মাণ সময় পেছানো হয়েছে। কিন্তু স¤প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ রেললাইনের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করলে নতুন করে এই রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গতি ফিরেছে প্রকল্পের কাজে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। তারপর প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৭ সালের ২০ জুন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে রেলওয়ে। এরপর দুই দফায় বেড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন নির্মাণে রেলওয়ের নিজস্ব জমি দখলে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। রেলের ইজারা দেওয়া জমিগুলো ছাড়তে অনীহা ছিল ইজারাদারদের। নিজেদের জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে আইনি বাধার মুখে পড়েছে রেলওয়ে। বেশ কিছু জমি নিয়ে মামলাও চলছে। এতে ঠিক সময়ে ঠিকাদারকে প্রয়োজনীয় জমি বুঝিয়ে দেওয়া যায়নি। তাছাড়া নতুন জমিও অধিগ্রহণ করা যায়নি। এতে করে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সময় দফায় দফায় বাড়াতে হয়েছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এই প্রকল্পের কাজের গতি পেয়েছে। আমরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ডাবল লাইন প্রকল্পের অবকাঠামোগত ৫২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে।
রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ প্রকল্প এলাকায় সাত হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা ছিল। পর্যায়ক্রমে আমরা আশেপাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছি।
গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্প পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রেলের জমি দখলকারী যতো বড় নেতাই হোক, তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি প্রকল্পটি গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দ্রুত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় ঢাকা গেন্ডারিয়া অংশে ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ, চাষাড়া ও ফতুল্লা স্টেশনে ৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে। রেললাইন ছাড়াও এ রেলপথে ১১টি সেতু ও কালভার্ট, দুটি ওয়াশপিট, একটি অফিস কাম স্টেশন বিল্ডিং, ৫টি স্টেশন ভবন ও প্ল্যাটফর্ম শেড, চারটি ফুট ওভারব্রিজ, ৩৮ হাজার ১৭৭ ঘনমিটার ব্যালস্ট সংগ্রহ, ১২টি লেভেল ক্রসিং গেট নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।